আজিজুর রহমান, কেশবপুর
উপযুক্ত পৃষ্ঠপোষকতার অভাবে ও প্লাষ্টিক সামগ্রীর দাপটে বাজারে চারুশিল্পের চাহিদা দিন-দিন কমে যাওয়ার কারণে হারিয়ে যেতে বসেছে বেত ও বাঁশের তৈরী চারুশিল্প।
ফলে কেশবপুরের প্রসিদ্ধ বাঁশশিল্পীরা তাদের ভাগ্যের উন্নয়ের জন্য বাপদাদার রেখে যাওয়া পেশা ছেড়ে বেছে নিচ্ছে অন্য পেশা। বেত ও বাঁশের তৈরী জিনিসের প্রতি মানুষের দিন দিন আগ্রহ হারিয়ে ফেলছে।
কেশবপুরের বেত ও বাঁশ শিল্পের সুনাম দেশের গন্ডি ছাড়িয়ে বিদেশেও ছড়িয়ে রয়েছে। কিন্তু আধুনিক ও যান্ত্রিক যুগের সাথে পালা দিয়ে টিকে থাকা প্রায় অসম্ভব হয়ে পড়েছে। তাই দিনদিন চারুশিল্পের বিশ্বজোড়া খ্যাতি যশ ধীরে ধীরে অলাভজনক শিল্পে পরিনত হয়ে যাচ্ছে। যে কারণে কেশবপুরের চারুশিল্পীরা বাপদাদার রেখে যাওয়া পেশা ছেড়ে বেছে নিচ্ছে নতুন পেশা। যে পেশায় তারা একেবারে আনাড়ী।
ফলে কেশবপুরের বেত ও বাঁশ শিল্পীরে পরিবারের মানুষ এখন মানবেতর জীবন যাপন করছে। উপজেলার সাগরদাঁড়ী, কোমরপোল, ভেরচী, শেখপুরা, গোপসেনা, ধর্মপুর,বালিয়াডাঙ্গা,দেউলি, শ্রীরামপুর, খতিয়াখালি গ্রামের প্রায় এক হাজার পরিবার বেত ও বাঁশ শিল্পের সঙ্গে জড়িত। যারা বাঁশ দিয়ে তৈরী চাটাই, কুলা,ঝুড়ি,ডালা, চালুন,খাঁচা, খারই, মোড়া, ডরি, পেলেসহ বিভিন্ন ধরনের টুকরি-সাজিসহ হরেক রকম দ্রব্যসামগ্রী তৈরী করে স্থানীয় বাজার চাহিদা মিটিয়ে দেশের বাইরেও বাজারজাত করত।
কিন্তু বর্তমানে পাষ্টিক সামগ্রীর দাপটে চারু শিল্পের চাহিদা প্রায় শেষ হয়ে গেছে। এ পেশার সঙ্গে জড়িত মান্দার দাশ, সুকুমার দাশ, দুলাল দাশ, জালাল গাজী, সোহারাব হোসেন, স্বপন দাশ, বিপুল দাশসহ অনেকের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, প্রয়োজনীয় কাঁচামাল সরবরাহ না থাকায় বাজারে বাহারী পাষ্টিক সামগ্রীর দাপটে চারুশিল্পের ভগ্ন দশা। তারা বলেন আমাদের খবর কেউ রাখেনা। চালিতা বাড়িয়ার পাচু বলেন আমাদের সংসার চালাতে হিমশিম খেতে হচ্ছে।