এইচএম, দুলাল মোংলা (বাগেরহাট)
সুন্দরবনে আবারো হরিণ শিকার বেড়ে চলেছে। এক শ্রেণীর চোরা শিকারীচক্র পূর্ব ও পশ্চিম সুন্দরবনের ভেতরে ফাঁদ পেতে ও চেতনাশক মিশিয়ে হরিণ শিকার করে মাংস বেচাবিক্রি অব্যাহত রেখেছে। মংলা, জয়মনি, রামপাল, ধানসাগর, বানিশান্তা, ছাচানাংলা, আদাচাকি, কালাবগি, ৪নং কয়রা, মহেশ্বরীপুর, কালিবাড়ি, পাথরখালি, জোড়শিং, পাতাখালি, খাসিটানা, আংটিহারা, গোলখালি, পারশেমারি, চাঁদনিমুখা এলাকার শতাধিক চোরা শিকারী বর্তমানে সুনদরবনে হরিণ শিকার করে ৩শ/৪শ টাকা কেজি দরে লোকালয়ে মাংস বিক্রি করে আর্থিক ফায়দা লুটে নিচ্ছে।
কোস্টগার্ড, পুলিশ ও বনরক্ষীরা অভিযান চালিয়ে গত দু’মাসে সুন্দরবন থেকে ১১ জন শিকারীকে হাতেনাতে আটক করে হেজহাজতে প্রেরণ করে। এ সময় অনেকগুলো ফাঁদ ও হরিণ শিকারের সরঞ্জাম উদ্ধার হয়। গতকাল সোমবার ‘বন সংরক্ষণের অঙ্গীকার টেকসই উৎপাদন ও ব্যবহার’ প্রতিপাদ্যে মোংলায় আন্তর্জাতিক বন দিবস পালিত হয়েছে। দিবসটি উপলক্ষে সোমবার বেলা ১১টার দিকে উপজেলা পরিষদ চত্বর থেকে বের হওয়া বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা পৌর শহরের গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে। পরে উপজেলা সম্মেলন কক্ষে বনবিভাগের আয়োজনে অনুষ্ঠিত হয় বন দিবসের গোল টেবিল বৈঠক। এ বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন পূর্ব সুন্দরবনের বিভাগীয় (বাগেরহাট) বন কর্মকর্তা মোহাম্মদ বেলায়েত হোসেন, বন ব্যবস্থাপনা ও পরিকল্পনা বিভাগের বিভাগীয় (খুলনা) বন কর্মকর্তা নির্মল কুমার পাল, মোংলা উপজেলা চেয়ারম্যান আবু তাহের হাওলাদার, পৌর মেয়র বীর মুক্তিযোদ্ধা শেখ আঃ রহমান, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কমলেশ মজুমদার, পূর্ব সুন্দরবনের চাঁদপাই রেঞ্জের সহকারী বন সংরক্ষক মোঃ শহীদুল ইসলাম হাওলাদার ও করমজল পর্যটন ও বন্যপ্রাণী প্রজনন কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ আজাদ কবির। বৈঠকে বনবিভাগ, উপজেলা প্রশাসন, স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও সাংবাদিকসহ বিভিন্ন শ্রেণী পেশার লোকজন অংশগ্রহণ করেন।
বন দিবসের গোল টেবিল বৈঠকে বন কর্মকর্তা নির্মল কুমার পাল পাল বলেন, সুন্দরবনে বাঘের সংখ্যা বেড়েছে। কিন্তু হরিণ শিকার ও বিষ দিয়ে মাছ নিধন রোধ করা যাচ্ছেনা, এটি অবশ্যই উদ্বেগের বিষয়। বক্তারা আরো বলেন, সকলের সহযোগীতায় বনের বাঘসহ সকল বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ ও বনের জীববৈচিত্র্য রক্ষা করা সম্ভব হবে।