এমপি রণজিত কুমারসহ অভয়নগরবাসি তাপস কুন্ডুকে চির বিদায় জানালেন

0
235

স্টাফ রিপোর্টার

সড়ক দুর্ঘটনায় আহত হয়ে ঢাকায় চিকিৎসাধীন ছিলেন নওয়াপাড়া মহাশ্মশান কমিটির সভাপতি ও অভয়নগর উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সাংগঠনিক সম্পাদক সকলের প্রিয় তাপস কুন্ডু। দ্রুত সুস্থ হয়ে ফিরে আসবে এমন আশায় ছিলেন সকলে। গত ৮ দিন মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ে শনিবার (১৯ মার্চ) রাত আনুমানিক ৭ টার সময় ঢাকার নিউ লাইফ প্রাঃ হাসপাতালে তিনি শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন। রবিবার দুপুরে অভয়নগরবাসীর ভালোবাসায় সৎকার শেষে তাঁরই হাতে গড়া মহাশ্মশানে দাহ কার্য সম্পন্ন করা হয়।

শেষ বারের মত তাপস কুন্ডুকে দেখতে ও শ্রদ্ধা জানাতে মহাশ্মশানে ছুটে আসেন যশোর-৪ আসনের জাতীয় সংসদ সদস্য রণজিত কুমার রায়। সার্বক্ষনিক উপস্থিত ছিলেন অভয়নগর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি শাহ্ ফরিদ জাহাঙ্গীর, নওয়াপাড়া পৌরসভার মেয়র ও উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক সুশান্ত কুমার দাস শান্ত, অভয়নগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মেজবাহ উদ্দীন, উপজেলা জাতীয় পার্টির সাবেক সভাপতি পীরজাদা শাহ্ আশরাফুজ্জামান, রাজঘাট নওয়াপাড়া শিল্পাঞ্চল শাখা শ্রমিক লীগের সাধারণ সম্পাদক ও যশোর জেলা ট্রাক ট্যাংকলরী শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক রবিন অধিকারী ব্যাচা, উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান বিষ্ণুপদ দত্ত প্রমুখ।

নিহত তাপস কুন্ডু গুয়াখোলা গ্রামের মৃত হরিপদ কুন্ডুর ছেলে। মৃত্যুকালে স্ত্রী, সন্তানসহ অসংখ্য গুনগ্রাহী রেখে গেছেন। নিহতের একমাত্র ছেলে সুদীপ কুন্ডু জানান, গত ১১ মার্চ শুক্রবার সন্ধ্যায় তাঁর বাবা নওয়াপাড়া মহাশ্মশান থেকে স্কুটি চালিয়ে যশোর-খুলনা মহাসড়কে পৌঁছান। এসময় খুলনাগামী রূপসা পরিবহনের একটি বাস তাঁর বাবাকে চাপা দিয়ে চলে যায়।

গুরুতর আহত অবস্থায় তাঁর বাবাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। ওইদিন রাতে উন্নত চিকিৎসার জন্য যশোর কুইন্স হাসপাতালে পরে ঢাকা নিউ লাইফ প্রাঃ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। শনিবার (১৯ মার্চ) রাত আনুমানিক সাড়ে ৭ টার সময় চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাঁর বাবা মারা যান। রবিবার দুপুরে সৎকার শেষে নওয়াপাড়া মহাশ্মশানে দাহ সম্পন্ন করা হয়।

নিহতের বড় ভাই পীযুষ কুন্ডু কাঁদতে কাঁদতে বলেন, ‘আমার ভাইয়ের হাতে গড়া নওয়াপাড়া মহাশ্মশান। সে শ্মশান কমিটির সভাপতি ছিল। আর সেই শ্মশানে সে আজ লাশ হয়ে ফিরেছে। তিনি বাস চালকের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেন। প্রসঙ্গত, ১১ মার্চ শুক্রবার দুর্ঘটনার পর যাত্রীদের সহযোগিতায় বাস চালক নাঈম পারভেজকে আটক করে নওয়াপাড়া হাইওয়ে থানা পুলিশ। পরদিন শনিবার নিহতের ভাই পীযুষ কুন্ডু বাদি হয়ে নাঈম পারভেজের নামে থানায় মামলা দায়ের করেন।

Comment using Facebook