যশোর অফিস
যশোরে দুই দিনব্যাপী গণটিকা কার্যক্রমে লক্ষ্যমাত্রার অর্ধেক মানুষ করোনা টিকা নিয়েছেন। দুইদিনে মোট পাঁচ হাজার ২৭৬ জন নারী-পুরুষ টিকা নেন। যশোর ঈদগাহ মাঠে ১০ হাজার জনকে সিনোফার্মের টিকা দেওয়ার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়। পর্যাপ্ত টিকাও ছিল। তবে টিকাগ্রহীতার অভাবে দিতে পারেনি স্বাস্থ্যবিভাগ।
এমন পরিস্থিতিতে ফের আজ শনিবার (২৯ জানুয়ারি) ও রোববার (৩০ জানুয়ারি) পর্যন্ত টিকা দেওয়ার সময়সীমা বাড়ানো হয়েছে। এই দুইদিনে শতভাগ নাগরিককে ভ্যাকসিনেশনের আওতায় আনা সম্ভব হবে বলে প্রত্যাশা জেলা সিভিল সার্জনের।
তবে সূত্র বলছে, গণটিকা গ্রহণে পুরুষের চেয়ে এগিয়ে আছে নারীরা। গত দুইদিনেই সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত নারীদের উপস্থিতি ছিল চোখে পড়ার মতো। নির্বাচনী ভোটকেন্দ্রের মতো দীর্ঘ লাইন ধরে তারা টিকা নিয়েছেন।
যশোরে শতভাগ নাগরিককে ভ্যাকসিনেশনের আওতায় আনার লক্ষ্যে বুধবার (২৬ জানুয়ারি) থেকে যশোর কেন্দ্রীয় ঈদগাহ ময়দানে শুরু হয় দুই দিনব্যাপী গণটিকা কার্যক্রম। নিবন্ধন ছাড়াই বুধবার ও বৃহস্পতিবার টিকা নেন ৫ হাজার ২৭৬ জন। যদিও দুইদিনে স্বাস্থ্য বিভাগের ১০ হাজারের বেশি ডোজ টিকা দেওয়ার লক্ষ্যমাত্রা ছিল।
টিকাদান কর্মসূচির প্রথমদিনে উপচেপড়া ভিড় লক্ষ্য করা গেছে। তবে দ্বিতীয় দিনে মানুষের আগ্রহ ছিল কম। টিকাদান কার্যক্রমে নিয়োজিত নার্স ও স্বেচ্ছাসেবকরা বলছেন, টিকাগ্রহীতারা সনদ পাচ্ছেন না। সে কারণেই টিকা নিতে সাধারণ মানুষের মধ্যে আগ্রহ কম।
এ বিষয়ে যশোরের সিভিল সার্জন ডা. বিপ্লব কান্তি বিশ্বাস বলেন, জেলায় করোনা সংক্রমণ ঠেকাতে শতভাগ ভ্যাকসিনেশনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল। যশোর ঈদগাহ মাঠে দুইদিনে ১০ হাজারের বেশি লোককে টিকাদানের সক্ষমতা থাকলেও মাত্র পাঁচ হাজার লোক টিকা নিয়েছেন। মানুষের মধ্যে টিকা নিতে অনীহা রয়েছে। তারপরও শনিবার ও রোববার এ কর্মসূচি অব্যহত থাকবে।