স্টাফ রিপোর্টার
শিল্পশহর নওয়াপাড়ায় দুইজন হোটেল-রেস্তোরাঁ শ্রমিকের উপর হামলার প্রতিবাদে দ্বিতীয় দিনের মত কর্মবিরতি পালন করেছে শ্রমিকরা।
কর্মবিরতির দ্বিতীয় দিন রবিবার দুপুরে শ্রমিক ইউনিয়নের পক্ষ থেকে অভয়নগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও অভয়নগর থানার ওসি বরাবর স্মারকলিপি দেয়া হয়েছে।
রেস্তোরাঁ বন্ধ থাকায় বিপাকে পড়েছে হোটেল মালিকরা। দুভোর্গে পড়েছে জনসাধারণ। মামলা দায়েরের পর আব্দুর সালাম রাজীব নামে এক আসামিকে আটক করেছে পুলিশ।
বাকি আসামি আটক না হওয়া পর্যন্ত কর্মবিরতি চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছে শ্রমিকরা।
জানা যায়, বৃহস্পতিবার রাতে রাজীব ও রুবেল নামে স্থানীয় দুই যুবক সাতক্ষীরা প্লাস হোটেলে খেতে যায়। খাবার দিতে দেরি হলে তারা উত্তেজিত হয়ে হুমকি দিয়ে বেরিয়ে যায়।
এরই জের ধরে শুক্রবার দুপুরে রাজীব, রুবেল, রাসেল, সাকিবসহ ৩-৪ অজ্ঞাত যুবক সাতক্ষীরা প্লাস হোটেলের ম্যানেজার ইমদাদুল ইসলাম ও কর্মচারী রিপন গাজীকে মারপিট করে পালিয়ে যায়। ঘটনার প্রতিবাদে ও হামলাকারীদের আটকের দাবিতে শনিবার (১২ মার্চ) সকাল থেকে রেস্তোরাঁ শ্রমিকরা কর্মবিরতি শুরু করে। রবিবার দ্বিতীয় দিনও কর্মবিরতি অব্যাহত রয়েছে। কর্মবিরতি পালনে যেমন বিপাকে পড়েছে রেস্তোরাঁ মালিকরা, তেমনি দুর্ভোগে পড়েছে জনসাধারণ।
এ ব্যাপারে অভয়নগর হোটেল রেস্তোরাঁ ও মিষ্টান্ন মালিক সমিতির সভাপতি লিটন ঘোষ বলেন, ‘শ্রমিকরা কাজে না আসায় হোটেল রেস্তোরাঁ ও মিষ্টান্ন ভান্ডারগুলো বন্ধ রাখতে হয়েছে। বন্ধ রাখার কারণে সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে জনসাধারণ।’ রবিবার সরেজমিনে নওয়াপাড়া বাজার ঘুরে দেখা গেছে, রেস্তোরাঁ ও মিষ্টান্ন ভান্ডারগুলো বন্ধ রয়েছে। রেস্তোরাঁ বন্ধ থাকায় ক্রেতারা ফিরে যাচ্ছে। কুষ্টিয়া থেকে নওয়াপাড়ায় কয়লা কিনতে আসা ব্যবসায়ী মনিরুজ্জামান বলেন, রেস্তোরাঁ বন্ধ থাকায় আমার মত অনেকে দুর্ভোগে পড়ছে। চা বিস্কুট খেয়ে দিন কাটাতে হচ্ছে।
অভয়নগর হোটেল রেস্টুরেন্ট মিষ্টান্ন বেকারী শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি আব্দুল হামিদ মুঠোফোনে বলেন, মামলার প্রধান আসামি রাজীবকে আটক করেছে পুলিশ। বাকি আসামিদের গ্রেপ্তারপূর্বক দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে রবিবার দুপুরে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও অভয়নগর থানার ওসি বরাবর স্মারকলিপি দেওয়া হয়েছে। পলাতক আসামিদের গ্রেপ্তার না করা পর্যন্ত কর্মবিরতি অব্যাহত থাকবে।
এ ব্যাপারে অভয়নগর থানার ওসি একেএম শামীম হাসান বলেন, হোটেল শ্রমিক মারপিটের ঘটনায় মামলা হয়েছে। মামলার আসামি পৌরসভার ৬নং ওয়ার্ডের গুয়াখোলা গ্রামের আবু তালেব শেখের ছেলে আব্দুর সালাম রাজীবকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। পলাতক আসামীদের আটকের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।