বিশেষ প্রতিনিধি, ঝিনাইদহ
তেল কিনতে গিয়ে ‘নেই’ শুনে ফিরে আসতে হয় বেশিরভাগ ক্রেতাকে। তবে দাম বেশি দিলে ঠিকই তেল পাওয়া যায়। বাজারে বোতলজাত তেলের চেয়ে খোলা তেলের দাম একটু কম। আর তাই ঝিনাইদহের হরিণাকুন্ডুর তাহেরহুদা ইউনিয়নের রামনগর বটতলা এলাকার কিছু অসাধু ব্যবসায়ী কবুতরের ফার্মে তেল মজুদ করে রেখেছেন। স্থানীয় সূত্রে খবর পেয়ে সেখানে অভিযান পরিচালনা করে ভ্রাম্যমাণ আদালতের এসিল্যান্ড সেলিম আহম্মেদ। এতে তেল মজুদের বিষয়টি ধরা পড়ে। হরিণাকুন্ডুর তাহেরহুদা ইউনিয়নের রামনগর বটতলা এলাকায় দুজন ব্যবসায়ীর গোডাউনে বিপুল পরিমাণ খোলা সয়াবিন তেল পাওয়া যায়। বিষয়টি এলাকায় চাঞ্চল্য সৃষ্টি করেছে।
অভিযানে কবুতরের ফার্মে লুকিয়ে রাখা বিধান শাহ নামে এক ব্যবসায়ীর ২ হাজার ৫০০ লিটার তেল পাওয়া যায়। পাশেই জিন্দার আলী নামে আরও এক ছোট দোকানির তালাবদ্ধ গোডাউনে পাওয়া যায় ২ হাজার ৬০০ লিটার সয়াবিন তেল। অবৈধভাবে তেল মজুদ করে কৃত্রিম সংকট তৈরির অপরাধে ব্যবসায়ী জিন্দার আলীকে ৫০ হাজার ও বিধান শাহকে ৪৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। সেই সঙ্গে ওই ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে মুচলেকাও নেয়া হয়েছে।
এসিল্যান্ড সেলিম আহম্মেদ বলেন, দোকানিরা অবৈধভাবে তেল মজুত করে কৃত্রিম সংকট তৈরি করছে। খবর পেয়ে দোকানে কোনো তেল না পেয়ে পরে একজনের কবুতরের ফার্মে এবং অন্যজনের দোকানের পেছনে লুকিয়ে রাখা গোডাউনে অভিযান পরিচালনা করি। সেখানে পাঁচ হাজার লিটারের বেশি খোলা সয়াবিন তেল পাওয়া যায়।
এসময় ভোক্তা অধিকার আইনে তাদের একজনকে ৫০ হাজার এবং অন্যজনকে ৪৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। এলাকাবাসি জানায় বিধান স্টোরের সামনেই সাপ্তাহিক কবুতরের হাট বসে। সেখানেই ঝুড়িতে করে কবুতর রাখা হয়। গত ১২ ফেব্রুয়ারি তারিখে এনে তারা এ সয়াবিন মজুত করে চড়া দামে বিক্রি করছিলেন।
এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট সেলিম আহমেদ জানান, কিছু অসাধু ব্যবসায়ী সিন্ডিকেট করে ভোজ্যতেলের বাজার অস্থিতিশীল করার চেষ্টা করছে। হরিনাকু-ু কয়েকজন ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে আগে থেকেই সুনির্দিষ্ট অভিযোগও ছিল। অভিযান পরিচালনার সময় আরও বেশ কিছু দোকানী দোকান বন্ধ করে পালিয়ে যায়।
এসময় এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট এর সাথে ছিলেন উপজেলা ভূমি অফিসের নাজির সুদীপ অধিকারী। ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনার কাজে এএসআই আমিরুলের নেতৃত্বে থানা পুলিশ সহযোগিতা করে।