স্টাফ রিপোর্টার
অভয়নগরে চাঁদার টাকা না পেয়ে গোয়াল ঘর থেকে গরু খুলে নিয়ে গেলো চাঁদাবাজরা। গরু ফিরিয়ে দিবে ইউপি মেম্বরের আশ্বাসেও ফেরৎ দেয়নি একমাত্র সম্বল গরুটিকে। উল্টো ছাত্তার মেম্বর ভুক্তভোগী ওই পরিবারকে অবরুদ্ধ করে রেখেছে। থানা পুলিশকে জানাতেও দেয়নি। শালিশ মিটিংয়ের নামে সময় ক্ষেপন ছাড়া আর কিছুই হয়নি।
অবশেষে উপায় না পেয়ে যোগাযোগ করেন দৈনিক নওয়াপাড়ার সাথে। ঘটনার বিবরণ শুনে দৈনিক নওয়াপাড়ার পক্ষ থেকে পুলিশকে অবহিত করলে তাৎক্ষনিক ভূমিকা নেয় অভয়নগর থানার অফিসার ইনচার্জ একেএম শামীম হাসান। ওই রাতেই পুলিশ তদন্ত ক্যাম্পের আইসিকে ঘটনার সুষ্ঠু তদন্তের জন্য নির্দেশ দেন।
জানা যায়, অভয়নগর উপজেলার ৪নং পায়রা ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ড পায়রা গ্রামের কারিগর পাড়ার শাহজাহানের ছেলে ও তার স্ত্রী মিলে পুত্রবধূ হাবিবাকে নির্যাতনের অভিযোগে তোলে।
এলাকাবাসী জানায়, পুত্রবধূ হাবিবাকে সাংসারিক বিষয় নিয়ে শাসন করে তার স্বামী ও শাশুড়ী। এ ঘটনা জানতে পেরে কয়েক জন যুবক মিমাংসার কথা বলে তাদের নিকট ২ হাজার ৫শ’ টাকা চাঁদা দাবি করে। কিন্তু ওই চাদা দিতে না পারায় অসহায় ভুক্তভোগী ওই পরিবারকে হুমকি ধামকি দিতে থাকে।
দাবীকৃত অর্থ না দেওয়ায় গতকাল বুধবার সকালে গোয়াল থেকে গরু খুলে নিয়ে যায় ওই এলাকার সোহেল গাজী, আলামিন গাজী, মিজানুর গাজী, আক্তার গাজীসহ এলাকার কয়েকজন। ভুক্তভোগী নাসিমা আক্তার বলেন, সকালে ২৫’শ টাকা না দেওয়ায় এলাকার কিছু লোক আমার গরু নিয়ে গেছে।
পুত্রবধু হাবিবা বলেন, আমাকে কেন্দ্র করে আমাদের গোয়ালের গরু খুলে নিয়ে গেছে। অভয়নগরের ভবদহ ফাঁড়ির এসআই আকরাম হোসেন, বিষয়টি সম্পর্কে আমাকে কেউ জানায়নি, আপনার কাছ থেকে প্রথম জানলাম, আমি আগামীকাল (আজ) খোঁজ খবর নিয়ে দেখব।
এব্যাপারে অভয়নগর থানার অফিসার ইনচার্জ একেএম শামীম হাসান জানান, ভুক্তভোগী পরিবারের কেউ থানায় অভিযোগ করেনি। এখনই আমি ওই পরিবারের সাথে যোগাযোগ করে পুলিশ পাঠিয়ে ব্যবস্থা নিচ্ছি।