বিশেষ প্রতিনিধি, যশোর
সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল এস এম শফিউদ্দিন আহমেদ যুদ্ধে যোগাযোগ ব্যবস্থার গুরুত্ব তুলে ধরে বলেন, আধুনিক যুদ্ধে উপযুক্ত সিগন্যাল যোগাযোগ ও কম্পিউটার প্রযুক্তির প্রয়োগ যুদ্ধক্ষেত্রে এনেছে বৈপ্লবিক পরিবর্তন।
যুদ্ধের প্রচলিত মাত্রা জল স্থল ও আকাশ ছাড়িয়ে এখন প্রসারিত হয়েছে ইলেক্ট্রনিক ও সাইবার যুদ্ধ নব নিয়ন্ত্রণ বাঁধ যুদ্ধক্ষেত্রে নির্ধারণ করে দিবে যে কোন প্রশিক্ষিত বাহিনীর সার্বিক সাফল্য।
সিগন্যাল যোগাযোগ তথ্য প্রযুক্তির ব্যবহার তথ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করা সর্বোপরি সাইবার যুদ্ধ ও ইলেকট্রনিক যুদ্ধ শত্রুর উপর আধিপত্য বিস্তারের মাধ্যমে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর বিজয় অর্জনে সহায়তা করায় সিগন্যাল কোরের মূল লক্ষ্য আধুনিক যোগাযোগ ও তথ্য প্রযুক্তি সমৃদ্ধ সঠিক প্রশিক্ষণের মাধ্যমে আরও সামনে এগিয়ে যাবে বলে আমি বিশ্বাস করি।
তিনি বলেন, বর্তমান সরকার প্রযুক্তিনির্ভর আধুনিক বাংলাদেশ গড়ার লক্ষে তথ্যপ্রযুক্তি ও টেলিযোগাযোগ খাত কে সবসময় অগ্রাধিকার দিয়ে আসছে। বিষয়টিকে সামনে রেখে ইতিমধ্যে সিগন্যাল ব্যাটেলিয়ন ও তিনটি স্ট্যাটিক সিগন্যাল কোম্পানী প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে।
সংযোজন করা হয়েছে নতুন রেডিও রিলেশন জান রেডিও সেট, ডিজিটাল এক্সচেঞ্জ টেলিফোন এবং ইলেকট্রনিক আধুনিক সরঞ্জামাদি বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট এর মাধ্যমে অপারেশনাল যোগাযোগ উন্নয়নে ভিস্যাটের স্টেশন স্থাপনের কাজ ইতিমধ্যে শেষ হয়েছে ফাইবার ও ইলেক্ট্রনিক যুদ্ধ পরিচালনার মূলনীতি হিসেবে আইসিটি পলিসি এবং ইলেকট্রনিক যুদ্ধের আইন প্রণয়নের কাজ চলমান রয়েছে।
আমাদের এই সকল কাজ সমগ্রদেশের তথ্য প্রযুক্তি উন্নয়ন ও সাইবার নিরাপত্তা উন্নয়নে ভূমিকা রাখতে সক্ষম হবে। সেনাপ্রধানের ১০ কর্ণেল কমান্ডান্ট অভিষেক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তবে তিনি একথা বলেন।
যশোর সেনানিবাসের সিগন্যাল ট্রেনিং সেন্টার এন্ড স্কুল প্রাঙ্গনে এই অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। এর আগে সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল এসএম শফিউদ্দিন আহমেদ কোর অব সিগন্যালন এর কর্ণেল কমান্ড্যান্ট হিসেবে অভিষিক্ত হয়েছেন। গতকাল মঙ্গলবার যশোর সেনানিবাসের সিগনাল ট্রেনিং সেন্টার এন্ড স্কুল এর প্যারেড গ্রাউন্ডে সিগন্যালসের ১০ম কর্ণেল কমান্ড্যাট হিসেবে অভিষিক্ত হন।
অভিষেক অনুষ্ঠানে কোর অব সিগন্যালসের জৌষ্ঠতম অধিনায়ক এবং মাষ্টার ওয়ারেন্ট অফিসার সেনাবাহিনী প্রধানকে গৌরবমন্ডিত কর্ণেল কমান্ড্যান্ট র্যাংক ব্যাজ পরিয়ে দেন। অভিষেক অনুষ্ঠানে সেনাবাহিনী প্রধান পৌঁছানোর পর কোর অব সিগন্যালসের একটি চৌকস দল তাঁকে গার্ড অব অনার প্রদান করেন। অনুষ্ঠান শেষে সেনাবাহিনী প্রধান কোর অব সিগন্যালসের বাৎসরিক অধিনায়ক সম্মেলনে যোগ দেন।