কালিগঞ্জ (সাতক্ষীরা) থেকে
কালীগঞ্জ উপজেলার ফুলতলা মোড়ে অবস্থিত শহীদ ইউনুস আলী কাঁচাবাজারের ড্রেনে এখন মশা উৎপাদনের কারখানায় পরিণত হয়েছে।
সদরের প্রধান এই কাঁচা বাজারের ড্রেনে ময়লা-আবর্জনায় ভরে গিয়ে পানি নিষ্কাশনের পথ বন্ধ হয়ে রয়েছে। ফলে ড্রেনের নোংরা দুর্গন্ধ যুক্ত পানিতে সৃষ্টি হয়েছে মশার লার্ভা। একদিকে জলাবদ্ধতা অন্যদিকে জমে থাকা ময়লা-আবর্জনার দুর্গন্ধে অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছেন বাজারের ব্যবসায়ীরা।
পাশাপাশি বাজারে আসা ক্রেতাদেরও চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। বাজারের ময়লা ফেলার জন্য ডাস্টবিনের ব্যবস্থা থাকলেও সে ডাস্টবিন পরিস্কার না করায় এখন ময়লার স্তুপে পরিণত হয়েছে। বাজারের নতুন ড্রেন নির্মাণ হওয়ার পর হতে আজ পর্যন্ত পরিষ্কার করা হয়নি।
সরকারি অর্থ ব্যয়ে ২ বছর আগে কাঁচাবাজার টি নির্মাণ করা হলেও কাউকে ইজারা দেওয়া হয়নি। বাজারের নেই কোন ব্যবস্থাপনা কমিটি। তাই বাজারের ব্যবসায়ীরা নিজ উদ্যোগে একজন ঝাড়ুদার কে দৈনিক ১৫০ টাকার বিনিময়ে নিয়োগ দিয়ে রেখেছে। কিন্তু ড্রেন পরিস্কার ও ময়লা আবর্জনা অন্য স্থানে ফেলার জন্য নেই কারো তদারকি।
একারণে ড্রেনের নোংরা দুর্গন্ধ যুক্ত পানিতে সৃষ্টি হচ্ছে মশা অন্যদিকে ডাস্টবিনের ময়লার দুর্গন্ধে চরম অস্বস্তিকর পরিবেশের সৃষ্টি হয়েছে। এছাড়াও উপজেলার গ্রামগুলোতে মশার উপদ্রব বেড়েই চলেছে। গরমের সাথে সাথে ভয়াবহ আকারে বৃদ্ধি পেয়েছে মশার উপদ্রব। দিন হোক কিংবা রাত মশার কামড়ে নাজেহাল এলাকাবাসী।
সন্ধ্যা ঘনালে মশার সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে কয়েকগুণ। মশার উপদ্রবে স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে রয়েছে কোমলমতি শিশুরা। স্কুল কলেজ পড়ুয়া শিক্ষার্থীদের পড়াশোনার ক্ষতি হচ্ছে। উপজেলার গ্রামগুলোতে মশার কামড়ে ডেঙ্গুর আতঙ্ক ছড়াচ্ছে। গত ফেব্রুয়ারি মাস থেকে হাট-বাজার গ্রামগঞ্জ সর্বত্রই জনজীবন মশার উপদ্রবে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে।
বৃষ্টি না হওয়ায় মশার উপদ্রব বেড়ে চলেছে বলে ধারণা অনেকের। এক জায়গায় বসলেই একসাথে অগনিত মশা ঘিরে ধরছে। মশা বাহিত বিভিন্ন রোগের আশঙ্কা থাকা সত্ত্বেও স্থানীয় প্রশাসন মশা নিধনের কার্যকর পদক্ষেপ নিচ্ছে না। অতি দ্রুত মশা নিধনের কার্যকারী পদক্ষেপ গ্রহণ করার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে দাবি জানাচ্ছে এলাকার সচেতন ব্যক্তিবর্গ।