নওয়াপাড়ার স্বাধীনতা চত্ত্বরে ভয়াবহ যানজট : দেখার কেউ নেই!

0
277

তাওহীদ আল উসামা

শিল্প বানিজ্য ও বন্দরনগরী নওয়াপাড়ার প্রাণকেন্দ্র স্বাধীনতা চত্ত্বরের যানজট ও জনদূর্ভোগ নিয়ে দক্ষিণবঙ্গের গণমানুষের মুখপাত্র দৈনিক নওয়াপাড়ায় একাধিকবার খবর প্রকাশিত হলেও এখনো পর্যন্ত টনক নড়েনি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের। ভয়াবহ যানজট নিরসনে নেওয়া হয়নি কোন কার্যকরি পদক্ষেপ। দিনের অধিকাংশ সময় তিব্র যানজটে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে এই রুটে চলাচলকারী হাজার হাজার মানুষ।

পথচারী ও ভুক্তভোগী মানুষের দাবী অবিলম্বে নওয়াপাড়া স্বাধীনতা চত্বরে একটি ট্রাফিক জোন নির্মাণ ও সড়কের ফুটফাত অবৈধ দখলমুক্ত করতে হবে। গত শনিবার ও রবিবার সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, নুরবাগ থেকে স্বাধীনতা চত্ত্বর হয়ে টেকারস্ট্যান্ড মোড় পর্যন্ত ব্যস্ততম এ সড়কটি দখল করে প্রতিদিন ট্রাক, কার্ভাড ভ্যান, পিকাপ, ইজিবাইক, আলমসাধুতে চলছে চাল, খৈল, ভূষি লোড আনলোড। বিশেষ করে সকাল ৮টা থেকে দুপুর ১টা ও বিকাল ৩টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত ব্যস্ততম এ সময়ে লোড আনলোড অব্যহত থাকায় যানজট লেগে থাকে বলে জানায় পথচারীরা। শুধু তাইনা অবৈধভাবে গড়ে উঠা ভ্যান, ইজিবাইক, মটরসাইকেল স্ট্যান্ডের কারণে প্রায় ঘটছে ছোট বড় নানা দূর্ঘটনা। এ নিয়ে ড্রাইভার ও পথচারীদেরকে বাকবিতন্ডায় জড়াতে দেখা গেছে।

সরকারী-বেসরকারী বেশ কয়েকটি হাসপাতালে যাওয়ার গুরুত্বপুর্ন এ সড়কের যানজটে অভয়নগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে খুলনায় রেফার্ড করা ঝুকিপূর্ণ রোগী বহনকারী একটি এ্যম্বুলেন্স দীর্ঘ সময় যানজটে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা যায়। স্থানীয় ব্যবসায়ী সূত্রে জানা যায়, নুরবাগ সংলগ্ন চালের আড়ৎ মালিকরা অধিক মোনাফার লোভে দিনের ব্যস্ততম সময়ে সড়ক দখল করে চাল লোড আনলোড করে। তাছাড়া স্বাধীনতা চত্বরের ১’শ গজের মধ্যে গড়ে উঠেছে ভ্যান, ইজিবাইক, থ্রি-হুইলার, মটরসাইকেলের ৭/৮টি স্ট্যান্ড, যেখানে সেখানে গাড়ি থামিয়ে যাত্রী ওঠানামা করছে এসব গাড়ির চালকরা। আবার স্বাধীনতা চত্বর থেকে টেকারস্ট্যান্ড পর্যন্ত সড়ক দখল করে খৈল, ভূষি লোড আনলোড চলে নির্বিঘেœ। দিনের ব্যস্ততম সময়ে গাড়ি লোড করার কারণ সম্পর্কে জানতে চাইলে শামিম মোল্যা ট্রেডিং এর স্বত্বাধীকারী শামিম মোল্যা জানান, যখন গাড়িটি লোড শুরু হয় তখন রোড ফাঁকা ছিল, পরে যানজট লেগেছে। অপর এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমরাও চাইনা মানুষকে কষ্ট দিতে।

মটরসাইকেল চালক মোস্তাফিজুর রহমান জানান, এ রোডে চলাচল করার মত কোন উপায় নেই। একবার এ সড়কে ঢুকে পড়লে বের হতে সময় লাগে ৪০/৫০ মিনিট। ভারি মালবাহী গাড়ী সড়কে ডুকে পড়া ও লোড আনলোড যানজটের অন্যতম কারণ বলে জানান স্থানীয়রা। সংশ্লিষ্ট কর্র্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করে ইমরান মুন্সি নামে একজন ভুক্তভোগী জানান, স্বাধীনতা চত্বরের যানজট নিরসনে ট্রাফিক জোন নির্মাণ করা এখন সময়ের দাবী। এসময় দ্রুত স্বাধীনতা চত্বরের যানজট নিরসনে ফুটফাত অবধৈ দখলমুক্ত করতে যথাযত কর্তৃপক্ষের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেন নওয়াপাড়াবাসী।

Comment using Facebook