নওয়াপাড়া ডেস্ক
বেশ কিছু দিন যাবৎ অনেক মুদি দোকানে চাহিদা অনুযায়ী মিলছে না সয়াবিন তেল। যেসব দোকানে সয়াবিন বিক্রি হচ্ছে, তা বাড়তি দামে নিতে হচ্ছে ক্রেতাদের। সুযোগ বুঝে ইচ্ছেমতো দাম বাড়াচ্ছেন বিক্রেতারা।
শুধু রাজধানী নয়, দেশের বিভিন্ন জেলার বাজারেও সয়াবিন তেলের সংকটের খবর পাওয়া গেছে। কদিন ধরে এ সংকট শুরু হয়েছে, যা এখন প্রকট। ফলে অনেক দোকানে এখন প্রতি লিটার তেলের দাম হাঁকা হচ্ছে ২০০ টাকা পর্যন্ত।
ঢাকার সবচেয়ে বড় পাইকারি তেলের বাজার মৌলভীবাজারেও সংকট। সেখানে তেল কিনতে গিয়ে ফিরে আসছেন খুচরা ক্রেতারা। কারও কাছে সয়াবিন থাকলেও সেটা গোপনে বিক্রি হচ্ছে চড়া দামে। পাইকারি বিক্রেতাদের অভিযোগ, সয়াবিন সরবরাহকারী কোনো প্রতিষ্ঠান তাদের তেল দিচ্ছে না। ডিও (ডেলিভারি অর্ডার) ওঠাতে পারছেন না তারা।
কোম্পানিগুলো তেল সরবরাহ বন্ধ রাখায় এ পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। তবে দেশে সয়াবিন তেল সরবরাহকারী বড় প্রতিষ্ঠানগুলো বলছে, তারা আগের মতো প্রতিদিন নির্দিষ্ট পরিমাণ তেল সরবরাহ করছে। পাইকারি ও খুচরা বিক্রেতারা রমজান সামনে রেখে সয়াবিন মজুত করছেন। এজন্য বাজারে কৃত্রিম সংকট তৈরি হচ্ছে।
কোম্পানি সয়াবিন তেল সরবরাহ না করার কারণে সম্পর্কে জানাযায়, ‘তারা (কোম্পানি) বিভিন্ন অজুহাত দেখাচ্ছে। মেঘনা গ্রুপ বলছে, জাহাজ বন্দরে পৌঁছেনি। সিটি গ্রুপ বাড়তি চাপের কথা বলছে। টিকে গ্রুপসহ অন্যরা তাদের কাছে সয়াবিন নেই বলে জানাচ্ছে।’ সিটি গ্রুপের পরিচালক বিশ্বজিৎ সাহা বলেন, ‘আমাদের কাছে তো তেল রয়েছে।
প্রতিদিন মিলগেট থেকে দুই হাজার টন তেল সরবরাহ করছি। আগেও একই পরিমাণ তেল ডেলিভারি দেওয়া হতো। এটা কন্টিনিউ (অব্যাহত) রয়েছে, সংকট তো এখানে না।’ ডিস্ট্রিবিউশন সেল থেকে তেল দেওয়া হচ্ছে না, পাইকারি ক্রেতাদের এমন অভিযোগের বিষয়ে তিনি বলেন, ‘কোথাও তেলের কোনো সংকট নেই।
সবকিছু আগের মতোই চলছে।’ গতকাল বুধবার (২ মার্চ) বাজার ঘুরে দেখা গেছে, অধিকাংশ দোকানি জানান, সয়াবিন তেল নেই। এদিকে একটি দোকানে খোলা সুপার সয়াবিন বিক্রি হচ্ছে। এই সুপার সয়াবিন লিটারপ্রতি ১৮০ টাকা। অন্য দু-একটি দোকানে বোতলজাত তেল বিক্রি হচ্ছে ২০০ টাকা লিটার। উজ্জ্বল হোসেন নামের ব্যবসায়ী বলেন, ‘বাইরের দোকানে সয়াবিন না পেয়ে অনেকে সুপারশপে আসছেন।
অধিকাংশ ক্রেতা কয়েক বোতল করে সয়াবিন কিনছেন। ফলে বাড়তি একটা চাপ পড়ছে।’ যা করোনাভাইরাস পরিস্থিতিতেও সয়াবিনের লিটার ছিল ১১০ টাকা। সেটা এখন দ্বিগুণ দামে কিনতে হচ্ছে। সয়াবিনের বাজারে এমন অস্থিরতায় ক্ষুব্ধ ক্রেতারা।