রেজওয়ান উল্লাহ, কলারোয়া (সাতক্ষীরা)
সাতক্ষীরার কলারোয়ায় মা’য়ের পাশে ৭দিনের নবজাতক নিয়ে পিতার পরিচয় নিয়ে বিপাকে পড়েছেন ওই নবজাতকের মা। ক্ষমতার দাপটে প্রেম প্রেম খেলার ফসল এখন আর ঘরে তুলতে রাজি হচ্ছেনা প্রতারক।
ফলে নবজাতক শিশুটির পিতা কে হবে এমন প্রশ্ন শিশুটির মা’য়ের। সে জানায়, বিয়ের প্রতিশ্রুতি ও প্রেম আর ভালাসার সুযোগ নিয়ে অবৈধ সম্পর্ক করে ওই প্রতারক প্রেমিক। এখন বাচ্চা জন্ম নেয়ায় প্রেম আর ভালবাসা দুটি শেষ হয়ে গেছে। অসহায় মা গত ২৪ ফেব্রুয়ারী উপজেলার খোরদো পল্লী সেবা কেন্দ্রে সিজার করে ওই বাচ্চা জন্ম দেয়।
বর্তমানে মা ও বাচ্চা দুজনেই ভাল আছেন। ঘটনাটি ঘটেছে-কলারোয়া উপজেলার দেয়াড়া মাঠপাড়া গ্রামে। বুধবার সকালে ৭দিন বয়স এর শিশু ছেলের মা (১৯) জানায়, প্রায় দেড় বছর ধরে দেয়াড়া নতুন বাজার এলাকার মোস্তফা সানার ছেলে নাঈম (২২) এর সাথে তার প্রেমের সম্পর্ক চলে আসছে।
নাঈম প্রায় সময় তাদের বাড়ীতে যাতায়াত করতো। এনিয়ে এলাকাবাসী তাদের ঘরের মধ্যে দুজনকে ধরে আটকে রাখে। পরে দেয়াড়া মাঠপাড়া ওয়ার্ড আ’লীগের সাধারণ সম্পাদক রবিউল ইসলাম এসে নাঈমকে ধরে মারপিট করে ছেড়ে দেয়। এর পরেও নাঈম তাকে ছাড়া বাচবে না বলে প্রায় সময় ফোন করে তাদের বাড়ীতে ও তাকে বিভিন্ন স্থানে নিয়ে যেত।
পেটের বাচ্চা বড় হয়ে যাওয়ার কথা শুনে নাঈম যোগাযোগ বন্ধ করে দেয়। এর আগে গর্ভের বাচ্চা নষ্ট করার জন্য তার পিতা আজিজুল গাজীকে ১৬ হাজার টাকা দেয় নাঈমের পিতা মোস্তফা সানা। ওই কথা শুনে পুলিশ তার বাচ্চা নষ্ট না করতে বলে।
অভিযুক্ত নাঈমের পিতা মোস্তফা সানা বলেন, তার ছেলেকে অন্যায় ভাবে দোষারোপ করা হচ্ছে। প্রায় ৩ মাস আগে ২০ হাজার টাকা দিয়ে সাদা কাগজে সহি নিয়ে বিষয়টি মিমাংশা করে নিয়েছি। এখন আবার কি সমস্যা।
ওই ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য আকলিমা খাতুন বলেন, গরীব অসহায় নারীকে আইনের সহযোগিতার জন্য স্থানীয় প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষন করেন।
খোরদো পল্লী সেবা কেন্দ্রের ডাক্তার বকুল হোসেন জানান, তার ক্লিনিকে গত ২৪ফেব্রুয়ারী ভর্তি হয় ওই নারী। বেলা ৪টার দিকে সিজার করা হয়। তিনি ৭হাজার টাকা নিয়ে ওই সিজার করান সাতক্ষীরার ডাক্তার ইমরান হোসেনকে দিয়ে।দেয়াড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মাহবুবুর রহমান মফে জানান, ঘটনাটি শুনে তিনি ১মার্চ রাত ৯টার দিকে কলারোয়া থানার ওসি নাছির উদ্দীন মৃধাকে জানিয়েছেন।
তিনি নিষ্পাপ শিশু ছেলের পিতার পরিচয় পাওয়ার জন্য পুলিশের উর্দ্ধতন কর্মকর্তার হস্তক্ষেপ কামনা করেন। এসকল কথা শুনে কলারোয়া থানার ওসি চেয়ারম্যানকে জানায় অভিযোগ পেলে ওই নারীকে আইনে সহযোগিতা দেয়া হবে। এদিকে অসহায় ওই নারী তার নিষ্পাপ শিশু ছেলের পিতার পরিচয়ের দাবী জানিয়ে সাতক্ষীরা জেলা পুলিশ সুপার ও আইন প্রয়োগকারী সংস্থার দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন।