বাগআঁচড়া (যশোর) সংবাদদদাতা
ব্যবসায়ীক জীবন কাটছিলো ইমাদুল ইসলামের। বর্তমানে তিনি মাশরুম চাষে সময় পার করছেন। ইমাদুল ইসলাম ঝিকরগাছার কুলবাড়ীয়া গ্রামের আলতাব হোসেনের ছেলে।
ব্যাবসায়ীক জীবনে তিনি ও তার স্ত্রী টেলিভিশনে মাসরুম চাষ ও তার উপকার সম্পর্ক দেখে বিভিন্ন মাধ্যমে মাশরুম নিয়ে গবেষণা শুরু করেন। এর পর ইউটিউব দেখে তিনি মাসরুম চাষ,বীজ উৎপাদন,বাজার এবং রক্ষণাবেক্ষণের ধারণা নেন। পরে প্রথমেই ঢাকার একটি মাশরুম ফার্মেও সঙ্গে যোগাযোগ করে বীজ সংগ্রহ করেন ইমাদুল। সে বীজ থেকে ঘরোয়াভাবে তিনি মাশরুম উৎপাদন করেন।
তার প্রথম উৎপাদিত মাশরুম নিজ এলাকার হোটেল এবং কিছু পরিচিত মানুষের কাছে পাশাপাশি ঢাকায় বিক্রি করেন। প্রথম উৎপাদিত মাশরুম থেকেই অধিক মুনাফা হয় তার। ইমাদুল আরও জানান, প্রথম উৎপাদিত মাশরুম হতে সাফল্য পাওয়ায় বাণিজ্যিকভাবে চাষ করার সিদ্ধান্ত নেন। যোগাযোগ করেন সাভার মাশরুম উন্নয়ন ইন্সটিটিউট সেন্টারে। সেখানে হাতে কলমে তিনদিন প্রশিক্ষন গ্রহন করেন।
বর্তমানে তিনি প্রশিক্ষণ দিচ্ছেন। এর আগে তিনি সেখান থেকে মাশরুমের মাদার বীজ সংগ্রহ করেন। সে বীজ দেখেই এবার তিনি নিজেই মাদার এবং স্পন্ট বীজ তৈরি করেন। তিনি বলেন, মাশরুম উৎপাদনের জন্য ২৮/৩০ ডিগ্রী সেলসিয়াস তাপ মাত্রা প্রয়োজন। যদি তাপ মাত্রা ঠিক থাকে তবে মাশরুমের অধিক উৎপাদন হবে। তার মতে, ২৫০ গ্রাম মাশরুম বীজ উৎপাদনে ১৬ কেজি কাঠের গুড়া, ৮কেজি গমের ভূসি, চার কেজি ধানের তুস, ১০০ গ্রাম চুন এবং পরিমান মত পানি প্রয়োজন হয়। এই বীজ তৈরি করতে কমপক্ষে এক মাস সময় লাগে। বর্তমানে তার জমিতে যে পরিমান মাশরুম চাষ হচ্ছে তা দিয়ে স্থানীয় চাহিদা মিটিয়ে জেলার বাইরেও সরবরাহ করা সম্ভব।
তিনি আরও বলেন, তাজা মাশরুম তিন দিনের মধ্যে খেতে হয়। এছাড়া যদি শুকনা করে রাখা হয় তবে, এক বছর রাখা সম্ভব। এছাড়াও গুড়া মাশরুম দীর্ঘদিন রাখাও যায়। ইমাদুল জানান, মাশরুম এমন একটি খাদ্য যা বিভিন্নভাবে খাওয়া যায়।