সাকিরুল কবির রিটন, যশোর
শিক্ষা মন্ত্রাণলয়ের পরিপত্রকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে যশোরের এক মাদ্রাসায় সহকারি মৌলভীকে সুপার পদে নিয়োগ পাইয়ে দেয়ার অভিযোগ উঠেছে যশোর সদর উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার এম. কামরুজ্জামান জাহাঙ্গীরের বিরুদ্ধে। শুধু তাই নয়, মোটাংকের অর্থের বিনিময়ে এমপিও ভাগিয়ে দিয়েছেন তিনি।
জানা যায়, সরকারের সিদ্ধান্ত মোতাবেক ২০১৮ সালের ১৯ জুলাই শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে পরিপত্রের মাধ্যমে জানানো হয় এমপিওভুক্ত মাদ্রাসায় কোন সহকারি মৌলভী সরাসরি সুপার পদে নিয়োগ পরীক্ষায় আবেদন করতে পারবেন না। একমাত্র সহকারি সুপাররাই সুপার পদে আবেদন করতে পারবেন। সেইক্ষেত্রে সহকারি সুপার পদে আবেদন করতে একজন সহকারি মৌলভীর ১০ বছরের অভিজ্ঞা প্রয়োজন। আর সুপার পদে আবেদন করতে সহকারি সুপারের ৫ বছরের অভিজ্ঞতা লাগবে।
কিন্তু ওই সকল নিয়মনীতি উপেক্ষা করে যশোর সদর উপজেলার রামনগর ইউনিয়নের সিরাজসিংহ দাখিল মাদ্রাসায় মাওলানা মাহাবুবুর রহমানকে ২০১৮ সালের নভেম্বর মাসে সুপার পদে নিয়োগ ও এমপিও পাইয়ে দেন মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার এম. কামরুজ্জামান জাহাঙ্গীর। মাহাবুবুর রহমান কোন মাদ্রাসায় সহকারি সুপার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেননি। তিনি চাঁচড়া ইউনিয়নের মাহিদিয়া সম্মিলনী মহিলা আলীম মাদ্রাসায় সহকারি মৌলভী হিসেবে কর্মরত ছিলেন। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক শিক্ষক বলেন, ‘মাহাবুবুর রহমান উপজেলা শিক্ষা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার এম. কামরুজ্জামান জাহাঙ্গীরের কাছের লোক।
মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে তিনি দায়িত্ব নিয়ে মাহাবুবকে সুপার বানিয়েছেন ও এমপিওভুক্তি করেছেন। যেটা কোনভাবেই নিয়ম মাফিক হয়নি। সঠিকভাবে তদন্ত হলে সব সত্যতা বেরিয়ে আসবে।’ এ বিষয়ে মাহিদিয়া সম্মিলনী আলীম মাদ্রাসার অধ্যক্ষ ফারুক হোসেন বলেন, ‘মাহাবুব তার মাদ্রাসায় সহকারি মৌলভী হিসেবে কর্মরত ছিলেন। সহকারি সুপারের কোন অভিজ্ঞতা তার নেই।
কিন্তু তিনি সিরাজসিংহ দাখিল মাদ্রাসায় সুপার হয়েছেন। এমপিওভুক্তি হয়ে নিয়মিত বেতন-ভাতাও পাচ্ছেন। তার তো সুপার পদে আবেদন করার যোগ্যতাই নেই। কীভাবে তার নিয়োগ হলো এটা আমার কাছে বোধগম্য নয়।’ অভিযুক্ত সুপার মাহাবুবুর রহমান বলেন, ‘উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার সবকিছু জেনে বুঝেই তাকে নিতে নিয়োগ দিয়েছেন।
তিনি এমপিওভুক্তও হয়েছেন। কোন সমস্যা নেই তো। তারপরেও যদি কোন সমস্যা থাকে নিউজ লিখে আমার পেটে লাথি মারবেন না।’ উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার এম. কামরুজ্জামান জাহাঙ্গীর বলেন, ‘মাহাবুবুর রহমানের সব কাগজপত্র দেখেই নিয়োগ দেয়া হয়েছে। কোন অসুবিধা হওয়ার কথা নয়। সবকিছুই ঠিক আছে।’