কেশবপুরে সিকিউরিটি পদে চাকরি দেয়ার নামে ১০ লাখ টাকা আত্মসাৎ

0
279

কেশবপুর (যশোর) সংবাদদাতা

কেশবপুরে মোবাইল টাওয়ারের সিকিউরিটি পদে চাকরি দেয়ার নামে ও তার জমিতে টাওয়ার তৈরির কথা বলে ২০১৯ সালে ১০ লাখ টাকা নিয়ে আত্মসাৎ করেছে এক প্রতারক বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।

চাকরি না পাওয়ায় টাকা ও চেক ফিরে পেতে প্রতারক ব্যক্তির বিরুদ্ধে আসলাম মোল্লা বাদি হয়ে যশোর বিঞ্জ আদালতে পৃথক দুটি মামলা দায়ের করেছে।

আদালতে মামলার বিবরণ সুত্রে জানা গেছে, কেশবপুর উপজেলার ৮ নং সুফলাকাটি ইউনিয়নের হাড়িয়াঘোপ গ্রামের রজব আলী মোল্যার ছেলে আসলাম মোল্লার এক বিঘা জমির উপর মোবাইল কোম্পানির টাওয়ার তৈরি করে ওই টাওয়ারে সিকিউরিটি পদে চাকরি দেয়ার নামে একই উপজেলার বেতিখোলা গ্রামের মহাতাব মোল্লার ছেলে সোহরাব হোসেন মোল্লা কেশবপুর কলাগাছি বাজারের বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংক শাখা থেকে মোট ১০ লাখ টাকা গ্রহন করেন।

সিকিউরিটির গার্ডের চাকুরিতে সে বেতন পাবে ১০ হাজার ও টাওয়ারের ভাড়া বাবদ ২০ হাজার মোট ৩০ হাজার টাকা পাবে ও ১০ বছর পর এককালীন ২১ লাখ টাকা পাবে। এ সময়ে আসলাম মোল্লার নিকট থেকে ১০ টি স্বাক্ষর করা চেকের পাতা গ্রহন করেন প্রতারক সোহরাব হোসেন। এরপর প্রতারক সোহরাব হোসেন তাদের সাথে সকল যোগাযোগ বন্ধ করে দেয়। তার নিকট টাকা দাবী করলে সে বিভিন্ন প্রকার ভয়ভীতি ও হুমকি প্রদান করছে বলে মামলায় উল্লেখ করা হয়েছে। এদিকে স্বাক্ষর করা চেক গুলি ফেরত পাওয়ার দাবী করে আসলাম মোল্লা গত ৪/০২/২০২০ তারিখে কেশবপুর থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেন। যার নং- ৪৪২। যশোর বিজ্ঞ অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে একটি মামলা দায়ের করেন যার নং- পি ৪৭৯ তাং ২৩/০৩/ ২০২১ এবং বিজ্ঞ সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট কেশবপুর আমলী আদালতে অপর একটি মামলা দায়ের করেন যার নং- সি আর ১০৮/২০২১।

এ ব্যাপারে প্রতারক সোহরাব হোসেনের ০১৭২১-৯৫১২৬৭ নাম্বারে মোবাইল ফোন কথা বললে তিনি সাংবাদিকদের জানান,আসলাম মোল্লা টাওয়ার তৈরি করতে আমার নিকট থেকে ১০ লাখ টাকা গ্রহন করে ও ১০ টি চেকে টাকার অংক বসানো সাক্ষর করা কলাগাছি বাজারের বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংক শাখার চেক প্রদান করেন। কিন্তু ব্যাংকে টাকা না থাকায় আমি যশোর আমলী আদালতে একটি মামলা দায়ের করেছি। বরং আমার সাথে আসলাম মোল্লা প্রতারনা করেছে।

Comment using Facebook