জৌলুস হারিয়ে জরাজীর্ণ নওয়াপাড়া টেলিফোন এক্সচেঞ্জ

0
350

স্টাফ রিপোর্টার

নিত্য নতুন মুঠোফোন, ব্রড ব্যান্ড বা ওয়াইফাই এর যুগে ধীরে ধীরে জৌলুস হারিয়ে জরাজীর্ণ হয়ে পড়েছে নওয়াপাড়ার ডিজিটাল টেলিফোন এক্সচেঞ্জ।

খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে চলছে এ প্রতিষ্ঠানের কার্যক্রম। হাতেগোনা কয়েকটি সরকারী ও প্রাইভেট অফিস ছাড়া এখন আর কেউ এ প্রতিষ্ঠানের সেবা গ্রহণ করেন না।

এক সময়ের জনপ্রিয় যোগাযোগ মাধ্যম টেলিফোন এখন অলাভজনক প্রতিষ্ঠানে পরিনত হয়েছে। ১৯৯৪ সালের ১৬ই জুলাই নওয়াপাড়ায় দেশব্যাপী সরাসরি ডায়ালিং পদ্ধতির উদ্বোধন করেন, তৎকালীন ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী তরিকুল ইসলাম। সেই থেকে বিটিসিএল এর নিয়ন্ত্রনাধীণ প্রতিষ্ঠানটিতে গ্রাহক সংখ্যা কমার সাথে সাথে কমেছে কর্মকর্তা কর্মচারীদের সংখ্যাও।

অফিস প্রধান সামছুল আলম, লাইনম্যান নুরুল ইসলাম, গার্ড হবিবর রহমান, পিএ প্রতীলতা, টেকনিশিয়ান তহমিনা খাতুনসহ মোট ৫ জনে মিলে চালাচ্ছেন এ প্রতিষ্ঠান। গত বৃহস্পতিবার দুপুরে শিল্প বানিজ্য ও বন্দরনগরী নওয়াপাড়ায় অবস্থিত ডিজিটাল টেলিফোন এক্সচেঞ্জে গিয়ে দেখা যায়, অনেকটা ভুতুড়ে পরিবেশে জনমানবশূন্য অফিসে ঝুলছে তালা। খোঁজ নিয়ে দেখা যায়, স্বপরিবারে অফিসের পিছনের কোয়ার্টারে থাকেন গার্ড হবিবর রহমান।

তিনি ছাড়া উপস্থিত নেই অফিসের অন্য কর্মকর্তা কর্মচারীরা। টেলিফোন এক্সচেঞ্জ অফিস সূত্রে জানা যায়, যশোর খুলনা মহাসড়ক সংস্কারের সময় সমস্ত ক্যাবল নষ্ট হয়ে যায় এবং সেবা বন্ধ থাকে ২ বছরের ও বেশি। পরে নতুন ক্যাবলের মাধ্যমে এখন মাত্র ২৭০ জন গ্রাহককে এ টেলিফোন সেবা প্রদান করা হচ্ছে। যদিও এক সময় ১৩ থেকে ১৪ শত গ্রাহক টেলিফোন সেবা পেত।

মাসিক ৯২ টাকা মিনিমাম চার্জ ও টেলিফোন টু টেলিফোন খরচ হয় মিনিট প্রতি ৩০ পয়সা। টেলিফোন টু মোবাইল মিনিট প্রতি খরচ হয় ভ্যাট সহ ৭৫ পয়সা। এব্যাপারে বিস্তারিত জানতে কনিষ্ঠ সহকারী ব্যবস্থাপক মোঃ শামছুল আলমের মুঠোফোনে বারবার কল দিলেও তা বন্ধ পাওয়া যায়।

Comment using Facebook