ক্রীড়া ডেস্ক
অধিনায়ক তামিম ইকবাল সোজাসাপটাই বলে দিলেন, ‘সত্যি বলতে আমি ভাবিনি ৪৫ রানে ৬ উইকেট পড়ার পর আমরা ম্যাচটি জিততে পারবো।
তবে ম্যাচের নায়ক মেহেদি হাসান মিরাজের বিশ্বাস ছিল, উইকেটে থাকতে পারলে জয় সম্ভব। আরেক তরুণ আফিফ হোসেন ধ্রুবর সঙ্গে সেই বিশ্বাসের ভিতের ওপর দাঁড়িয়ে একের পর এক ইট দিয়ে গড়েছেন জয়ের ইমারত।
ধ্বংসস্তুপের মুখে বুক চিতিয়ে লড়ে দলকে এনে দিয়েছেন অবিশ্বাস্য এক জয়। মাত্র ৪৫ রানে ৬ উইকেট পতনের পর উইকেট হারায়নি বাংলাদেশ।
আফিফ-মিরাজের ১৭৪ রানের রেকর্ডগড়া জুটিতে ৪ উইকেটের জয় নিয়ে হাসিমুখেই মাঠ ছেড়েছে বাংলাদেশ। ব্যাট হাতে ৯৩ রানে অপরাজিত ছিলেন আফিফ আর মিরাজ করেছেন ৮১ রান। পাশাপাশি কিপটে বোলিংয়ে ১০ ওভারে ৩ মেইডেনসহ মাত্র ২৮ রান খরচ করায় মিরাজের হাতে উঠেছে ম্যাচসেরার পুরস্কার।
ম্যাচ শেষে পুরস্কার বিতরণীতে মিরাজ জানিয়েছেন, শুরু থেকেই বিশ্বাসটা তার ছিল। মিরাজের মতে, মানুষ পারে না এমন কিছুই নেই। পাশাপাশি চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামের গ্যালারিতে উপস্থিত দর্শকদেরও ধন্যবাদ জানাতে ভোলেননি বাংলাদেশের জয়ের নায়ক। মহান আল্লাহ্তায়ালার প্রতি শুকরিয়া জানিয়ে মিরাজ বলেছেন, ’সত্যি কথা বলতে আমি আত্মবিশ্বাসী ছিলাম। আফিফের সঙ্গে কথা বলেছি উইকেটে যে, এই একটা ম্যাচ যেটা আমরা দুজনে জেতাতে পারি।
তবে বিশ্বাসটা খুব জরুরি, আমরা যদি বিশ্বাস করতে পারি এ ম্যাচ জেতাতে পারি তাহলে আমরা জিতবো। মানুষ পারে না এমন কোনো জিনিস নেই। খালি দরকার বিশ্বাস, সেই বিশ্বাসটা ছিল এবং দর্শক যারা আছে অনেক সাপোর্ট করেছে। এসময় আফিফের ব্যাটিং ও তার সঙ্গে গড়া জুটির বিষয়েও কথা বলেন মিরাজ।
তিনি জানান, শুরুতে খানিক নার্ভাস থাকলেও আফিফের সঙ্গে কথা বলে সেটি কেটে যায়। পরে আফিফের পরামর্শেই বল বাই বল এগুতে থাকেন তারা দুজনে। যার সুবাদে মিলেছে চূড়ান্ত সফলতা। মিরাজের ভাষ্য, ‘আফিফ অসাধারণ ইনিংস খেলেছে। সত্যি কথা বলতে ওর ব্যাটিং দেখে আমার আত্মবিশ্বাস বেড়েছে।
কারণ আমি একটু প্রথম দিকে নার্ভাস ছিলাম। ও আমাকে একটা কথা বলেছে যে, মিরাজ ভাই আমরা বল টু বল খেলি, যা হবে পরে দেখা যাবে। আমাদের চিন্তা করার দরকার নেই অনেক রান দরকার।