সাতক্ষীরা সংবাদদাতা
সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলায় পরিবেশ অধিদপ্তরের আইন লঙ্ঘন করে অনুমোদন ছাড়াই চলছে ১২টির মধ্যে ৯টি ইট ভাটা। এ সকল ভাটা গুলোতে পুড়ানো হচ্ছে ফলজ গাছ ও টায়েরের গুড়া এ সকল ভাটার মালিকরা নিয়ম নীতির ত্বোয়াক্কা না করে ভাটা মালিক সমিতি প্রশাসন কে ম্যানেজ করে জালাচ্ছে কাঠ ও টায়েরের গুড়া। যা বর্তমান মহামারি করোনাকালীন সময়ে জনস্বাস্থ্য হুমকির মুখে মানছে না স্বাস্থ্যবিধি নিষেধ। আর এই অবৈধ্য ভাবে গড়ে ওঠা ইট ভাটা থেকে অর্ধ কোটি টাকা চাঁদা নিয়ে বৈধ্যতা দিয়েছে ইটভাটা প্রস্ততকালী মালিক সমিতি।
এ সকল অভিযোগের বিষয়ে ইটভাটা মালিক সমিতির সভাপতি আফজাল হোসেন অসুস্থ থাকার কারণে তার ছেলে রঞ্জু দায়িত্ব পালন কালে তার কাছে জানতে চাইলে তিনি এ প্রতিবেদক কে বলেন, শ্যামনগর উপজেলায় ১২টির ভাটার মধ্যে ৯টি ভাটা চালু আছে তার মধ্যে শ্যামনগর সোনার মোড় এলাকায় আছে ৫টি ভাটা মোস্তফা ব্রিকস, এ আর বি ব্রিকসের প্রোঃ বিল্লাল হোসেন আশা ১ ও আশা ২ ব্রিকসের প্রোঃ আরব আলী, হক ব্রিকস, নঁওয়বেগী এলাকায় জামান ব্রিকস, হাজী ব্রিকস প্রোঃ আনসার আলী এ ছাড়া সমিতির সাধারণ সম্পাদকের রয়েছে সাকিব ব্রিকস ৩টা।
সমিতির সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্বরত প্রোফেসর বকুলের কাছে মোবাইল ফোনে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমি একজন সরকারি চাকরিজীবি এর পাশাপাশি আমি ব্যবসা করি, তিনি এ সময় আরো বলেন ভাটার বৈধ্য কাগজপত্র ও জেলা প্রশাসকের দেওয়া লাইসেন্স আছে কি না তার সঠিক তথ্য দেননি।
তিনি আরো বলেন এ বছর কয়লার দাম বৃদ্ধি হওয়ার কারণে সব ইট ভাটায় কাঠ পোড়ানো হচ্ছে সরকারের আইন মেনে আমরা ভাটা পরিচালনা করছি প্রশাসন ও পরিবেশ অধিদপ্তরকে ম্যানেজ করে আমরা ভাটা চালায় আপনারা পত্র পত্রিকায় রির্পোট করলে ও আমাদের কোনো যায় আসেনা, এর আগেও তো অনেক লেখা লিখি করেছেন কিন্তু কিছু করতে পেরেছেন ? পরিবেশ দপ্তরের লোকজন প্রায় আমাদের কাছে আসেন এবং ওনাদের কাছে সকল তথ্য আছে যা কিছু জানার ওদের কাছে যান, এই বলে তিনি ফোনটি কেটে দেন। তবে ঝিকঝাঁক হাঁওয়া ভাটায় কাঠ পোড়ানোর কোনো সুযোগ না থাকলে ও মানা হচ্ছে না বায়ূ দূষণ, ইটের মুল্য বৃদ্ধির জন্য অসাধু ভাটা ব্যবসায়িরা ইটে দিচ্ছে ক্ষতিকারক কেমিক্যাল পাওডার ও টায়ারের গুড়া যা স্বাস্থ্যের জন্য চরম ঝুকি।
মহামারি করোনাকালীন সময়ে অধিকাংশ ভাটায় শ্রমিকরা স্বাস্থ্যবিধি মানছে না। সরজমিনে গিয়ে দেখা যায় সমিতির সাধারণ সম্পাদক বকুলের ভাটায় অবৈধ্য ভাবে কাঠ পোড়ানোর মহা উৎসব চলছে। নাম বলতে অনিচ্ছুক এক ভাটা পরিচালক সাংবাদিককে বলেন, আমরা ইট ভাটা চালাই ভাটা মালিক সমিতি ও প্রশাসন ম্যানেজ করে সবকিছুই সমিতি দেখবে আমরা ভাটা মালিক সমিতিকে বাৎসরিক চাঁদা দিয়ে ভাটা চালায়।
এ ব্যপারে পরিবেশ অধিদপ্তরের সহকারি পরিচালক সরদার শরিফুল ইসলামের কাছে জানতে চাইলে তিনি এ প্রতিবেদককে বলেন, আমাদের অফিসিয়াল লোক জনবল কম এ ছাড়া আমাদের র্নিবাহী ম্যাজিজট্রেট কম থাকায় আমরা সঠিক সময়ে অভিযান পরিচালনা করতে পারছি না ।