আক্তারুজ্জামান
যশোরের ভবদহ অঞ্চলে এখনও প্রায় অর্ধশতাধিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শহীদ মিনার জলাবদ্ধ অবস্থায় আছে। যে কারণে এসব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শহীদ বেদীতে শ্রদ্ধা অর্পন করতে পারেনি শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা।
শহীদ মিনারে ফুল না দিতে পেরে ভূক্তভোগীরা চাপা ক্ষোভ নিয়ে ফিরেগেছে বলে জানা যায়। শুধু আলোচনা অনুষ্ঠান ও একুশের গান বাজিয়ে শেষ হয়েছে মহান এ শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস। সরেজমিনে গত সোমবার ভবদহ অঞ্চলের সুজাতপুর মধ্যপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, হাটগাছা-সুজাতপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, হাটগাছা মাধ্যমিক বিদ্যালয়, হাটগাছা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, অভয়নগরের আন্ধা মাধ্যমিক বিদ্যালয়, ডহর মশিয়াহাটী নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয় গিয়ে দেখা যায়, এসব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শহীদ মিনার এখন পানিতে নিমজ্জ্বিত রয়েছে। দুই একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শহীদ মিনার জাগনো থাকলেও এর চারিপাশে কাঁদা-পানিতে একাকার হয়ে রয়েছে। ওই কাঁদা পানির মধ্য দিয়ে শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা শহীদ মিনারে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধাঞ্জলি অর্পন করেছে।
এব্যাপারে সুজাতপুর মধ্যপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক বীনাপানি সরকার বলেন, আমাদের স্কুলের শহীদ মিনার জলে ডুবে আছে, যেকারণে আমরা এবছর শহীদ মিনারে ফুল দিতে পারিনি। অন্যান্য অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে দিবসটি পালন করেছি।
এব্যাপারে হাটগাছা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক বিকাশ চন্দ্র বিশ্বাস বলেন, আমরা শিক্ষার্থীদের নিয়ে আলোচনার মাধ্যমে ভাষা দিবস বা আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস পালন করেছি।
এব্যাপারে আন্ধা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সহকারি শিক্ষক দীপক মল্লিক বলেন, আমাদের বিদ্যালয়ে শহীদ মিনার নেই, বিদ্যালয় সংলগ্ন আন্ধা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শহীদ মিনার রয়েছে। কিন্তু এবছর ওই শহীদ মিনার জলাবদ্ধ অবস্থায় থাকায় আমরা কাঁদা-পানির মধ্য দিয়ে সেখানে গিয়ে ফুল দিয়েছি।
এব্যাপারে মণিরামপুর উপজেলা প্রাথমিকের সহকারি শিক্ষা অফিসার পলাশ বিশ্বাস বলেন, যে সমস্ত বিদ্যালয়ের শহীদ মিনার জলাবদ্ধ আছে, তারা যত সম্ভব দিবসটি পালন করার চেষ্টা করেছে।