স্টাফ রিপোর্টার,মনিরামপুর
মনিরামপুরে আকবর সানা নামে এক ভাংড়ি ব্যবসায়ীর রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে। সোমবার রাতে স্বামী স্ত্রী একঘরে থাকলেও সকালে গলায় ওড়না পেচানো অবস্থায় স্বামীর লাশ পাওয়া যায়। মঙ্গলবার দুপুরে পুলিশ লাশ উদ্ধারের পর ময়না তদন্তের জন্য যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালের মর্গে প্রেরন করেন।
তবে নিহতের স্বজনদের অভিযোগ পারিবারিক কলহের দরুন স্ত্রী রহিমা খাতুন তার স্বামীর অন্ডকোষ চেপে ও শ্বাসরোধে হত্যার পর গলায় ওড়না পেচিয়ে রাখে।
এ ঘটনায় সন্দেহভাজন হিসেবে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আকবরের স্ত্রী রহিমা খাতুনকে পুলিশি হেফাজতে নেওয়া হয়েছে।
নিহত ভাংড়ি ব্যবসায়ী আকবর সানা(৩৬) উপজেলার মশি^মনগর ইউনিয়নের পারখাজুরা গ্রামের আরশাদ সানার ছেলে। নিহতের চাচাতভাই তরিকুল ইসলামসহ পরিবারের লোকজন জানান, দুই সন্তানের জনক আকবর আলী সানা বাগেরহাট জেলায় ভাংড়ির ব্যবসা করতেন। মাঝেমধ্যে সেখান থেকে তিনি বাড়িতে আসতেন।
অভিযোগ রয়েছে আকবরের স্ত্রী স্বামীর অবর্তমানে এলাকায় অত্যন্ত বেপরোয়াভাবে চলাফেরা করতেন। এ নিয়ে তাদের স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে প্রায়ই ঝগড়া হতো। সোমবার দুপুরে কর্র্মস্থল বাগেরহাট থেকে বাড়িতে আসেন আকবর সানা। পরিবারের বিভিন্ন বিষয়াদী নিয়ে রাতভর স্বামীস্ত্রীর মধ্যে ঝগড়া হয়। ঝগড়ার পর তারা স্বামী-স্ত্রী এক ঘরেই অবস্থান করেন। কিন্তু সকাল হয়ে গেলেও তারা ঘুম থেকে না ওঠায় আকবরের বড়ভাইয়ের স্ত্রী জোসনা বেগম অনেক ডাকাডাকি করলেও দরজা খোলেনি।
এক পর্যায়ে বাড়ির লোকজন দরজা ভেঙে ভিতরে ঢুকে দেখতে পান গলায় ওড়না পেঁচানো অবস্থায় মাটিতে আকবরের লাশ পড়ে আছে। আর লাশের পাশে বসে কাঁদছেন তাঁর স্ত্রী রহিমা খাতুন। রাজগঞ্জ পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ ওসি বানী ইসরাইল জানান, আকবরের মৃত্যু সন্দেহজনক হওয়ায় লাশ উদ্ধার করে মর্গে পাঠানো হয়েছে।
তবে এ ঘটনায় সন্দেহভাজন হিসেবে রহিমাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পুলিশি হেফাজতে নেওয়া হয়েছে।
মনিরামপুর থানার ওসি(তদন্ত) গাজী মাহবুবুর রহমান জানান, এ ঘটনায় এখনও কেউ মামলা করেননি। তবে ময়না তদন্ত রিপোর্ট হাতে পাবার পর পরবর্তি আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।