মফিজুর রহমান দপ্তরী
বার বার নির্বাচিত সাবেক জাতীয় সংসদ সদস্য, যশোর জেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও ৭১ এর যুদ্ধকালিন গণপরিষদ সদস্য মুক্তিযদ্ধের অন্যতম সংগঠক বীর মুক্তিযোদ্ধা পীরজাদা মরহুম শাহ্ হাদীউজ্জামান এঁর ৫ম মৃত্যুবার্ষিকী গতকাল রোববার পালিত হয়েছে।
এ উপলক্ষে তার ৫ সন্তানের মধ্যে জৈষ্ঠ্য সন্তান অভয়নগর উপজেলার পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলার আ’লীগের সিনিয়র সহ সভাপতি শাহ ফরিদ জাহাঙ্গীর স্মৃতিচারণ করেন। একান্ত সাক্ষাতকারে তিনি জানান, আমার পিতা মরহুম শাহ হাদীউজ্জামান ছিলেন একজন প্রকৃত সাধক রাজনীতিবিদ। তিনি রাজনীতির মাধ্যমে মানুষের সেবা করতেন। একদিন জনৈক ব্যক্তি প্রশ্ন করেছিলেন, আপনি কেন রাজনীতি করেন?
তিনি উত্তরে বলেছিলেন, রাজনীতির মাধ্যমে মানুষের উপকার করা যায়, তাই আমি রাজনীতি করি। সাক্ষাতকারে শাহ ফরিদ জাহাঙ্গীর আরও বলেন, আমি আমার পিতার বড় সন্তান হিসেবে আমার পিতাকে কাছ থেকে যতটুকু দেখার সুযোগ হয়েছে, আমি তাঁকে দেখেছি, তিনি কোন মানুষকে তার অধিকার থেকে বঞ্চিত করেননি। যদি কোন ব্যক্তি অন্য রাজনীতির সঙ্গেও জড়িত থাকেন তাহলেও তার ন্যায্য অধিকার থেকে কখনও বঞ্চিত করেননি।
মানুষকে গোপনে সাহায্য করতেন। আমি অনেক সময় দেখতাম কয়েকজন ব্যক্তি মাসের মধ্যে কয়েকবার তার কাছ থেকে সহযোগীতা নিচ্ছেন। এটা দেখে আমার কিছুটা বিরক্তি হলেও পরে আমি খোঁজ নিয়ে দেখেছি তাদের আয়-উপার্জন কিছুই ছিলনা, একেবারে নি:স্ব কয়েকটি পরিবার। তখন আমি বুঝেছিলাম আমার পিতা কেন তাদেরকে এত বেশি সহযোগীতা করতেন। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি জানান, আমি চেষ্টা করি আমার পিতার সেই ধারাবাহিকতাকে বজায় রাখতে। আমার পিতার আদর্শ অনুস্মরণ করার চেষ্টা করি। তার দেয়া উপদেশ গুলি আমার এখন বেশি করে মনে পড়ে।
আমি সেই উপদেশগুলিকে এখন বেশি স্মরণ করি এবং সেই মোতাবেক কাজ করার চেষ্টা করি। পরিশেষে আমার পিতার জন্য মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামিনের নিকট কায়মনোবাক্যে দোয়া করি যেন আমার পিতা মহান আল্লাহর কাছে ভালো থাকেন। -আমীন