মণিরামপুর সংবাদদাতা
মণিরামপুরে পৃথক সড়ক দূর্ঘটনায় স্কুল ছাত্রসহ ২ জন নিহত এবং ১১ জন আহত হয়েছে। বুধবার সকাল সাড়ে ৯টায় উপজেলার বেগারীতলায় ও সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে সাতগাতী বাজারে এ দূর্ঘটনায় এ হতাহতের ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলো-উপজেলার বাহিরঘরিয়া গ্রামের শাহাবুদ্দিনের ছেলে স্কুল ছাত্র রাসেল হোসেন (১৫) এবং বাঘেরহাট জেলার ফকিরহাট উপজেলার শুভদিয়া গ্রামের হান্নান শেখ (৩৭) এবং আহতরা হলো উপজেলার বাহিরঘরিয়া গ্রামের তবিবুর রহমানের ছেলে রনি হোসেন (১৮) এবং একই গ্রামের জসীম উদ্দীনের ছেলে হৃদয় হোসেন (১৮), বাঘেরহাট জেলার বাগেরহাটের ফকিরহাট উপজেলার শুভদিয়া গ্রামের লেয়াকত শেখ (৬২), আনোয়ার শেখ (৪০), সাগর হোসেন (২৭), মান্নান শেখ (৩০), ইসমাইল শেখ (২৭), ওসমান আলী (৫০), সোবহান আলী (২০), নুরুল ইসলাম (২২) ও সাগর হোসেন (২৫)।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, তিন বন্ধু রাসেল হোসেন, রনি হোসেন এবং হৃদয় হোসেন মোটরসাইকেল ভাড়ায় নিয়ে ঘুরতে বের হয়। বুধবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে উপজেলার নেহালপুর-কালিবাড়ি সড়কের সাতগাতি বাজারে ওই সড়কে দাড়িয়ে থাকা ইটবাহি ট্রলির পিছনে ধাক্কা দেয়। এতে ঘটনা স্থলে রাসেল হোসেন নিহত হয় এবং অপর দুই মোটরসাইকেল আরোহী রনি ও হৃদয় গুরুত্বর আহত হয়।
খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা তাদের উদ্ধার করে মণিরামপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। এদের মধ্যে রনি ও হৃদয়ের অবস্থা আশংকাজনক হওয়ায় তাদের যশোর আড়াই শয্যা হাসপাতালে পাঠানো হয়।
অপরদিকে ১০ শ্রমিক কাজের জন্য আলমসাধু যোগে যশোরে যাওয়ার পথে যশোর-সাতক্ষীরা মহাসড়কের বেগারীতলা-জামতলায় পৌছালে পিছন দিক থেকে একটি মালবাহী ট্রাক ধাক্কা দেয়। এতে আলমসাধুটি দুমড়ে-মুচড়ে যায় এবং শ্রমিকরা গুরুতর আহত হয়। স্থানীয়রা যশোর-চ-১১-৪১৩৭ নম্বরধারী ট্রাকটি আটকিয়ে ফায়ার সার্ভিসে খবর দেয়। হাসপাতালে নেওয়ার পর হান্নান শেখ মারা যান।
মণিরামপুর ফায়ার সার্ভিস স্টেশন অফিসার প্রণব কুমার বিশ্বাস বলেন, আহত ১০ দিনমজুরকে উদ্ধার করে যশোর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। আহতদের মধ্যে ৪ জনের অবস্থা আশংকাজনক। সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে দুর্ঘটনায় গুরুত্বর আহত ৩ জনকে মণিরামপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হলে জরুরী বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক রাসেল হোসেনকে মৃত ঘোষনা করেন।
জররুরী বিভাগের চিকিৎসক ডাঃ মোঃ জিসান জানান, হাসপাতালে আনার আগেই রাসেল মারা যায় এবং বাকি দুই জনের অবস্থা গুরুত্বর হওয়ায় তাদেরকে যশোর আড়াইশ শয্যা হাসপাতালে পাঠানো হয়। মণিরামপুর থানার ওসি নূর-ই-আলম সিদ্দিকী বলেন, ঘাতক ট্রাকটিকে থানা হেফাজতে রাখা হয়েছে। এ ঘটনায় কোন পক্ষ লিখিত অভিযোগ দেয়নি।