কেশবপুরে পানি ডিঙিয়ে বিদ্যালয়ে চলাচল : ভোগান্তি শিক্ষার্থীরা

0
217

আজিজুর রহমান, কেশবপুর

কেশবপুরে মনোহরনগর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের চর্তুদিকে তলিয়ে রয়েছে পানিতে। প্রবেশ পথেও হাটু পানি। দীর্ঘ ছয় মাস ধরে চলছে এ অবস্থা।

তীব্র শীতের মধ্যে পানি ডিঙিয়ে শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের বিদ্যালয়ে যাতায়াত করতে হয়। যে কারণে বিদ্যালয়ের শিক্ষক ও দুই শতাধিক শিক্ষার্থীদের পড়তে হয়েছে চরম ভোগান্তিতে।

এদিকে বিদ্যালয়ের মাঠে কোমর সমান পানিতে থই থই করায় খেলাধুলাও রয়েছে বন্ধ। অভিযোগ উঠেছে, এলাকার মাছের ঘের মালিকরা ঘেরের পানি সেচ দিয়ে খালের মধ্যে ফেলার কারণে পানি উপচে এ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। সরেজমিন সম্প্রতি উপজেলার পাঁজিয়া ইউনিয়নের মনোহরনগর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে গিয়ে দেখা যায়, শীতের ভেতর পানি ডিঙ্গিয়ে শিক্ষার্থীরা অ্যাসাইমেন্ট সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে বিদ্যালয়ে প্রবেশ করছে।

এ সময় সপ্তম শ্রেণির ছাত্র সুকান্ত সরকার জানায়, স্কুলে ঢোকার পথে পানি থাকায় জুতা হাতে ও প্যান্ট উঁচু করে যেতে হয়। তাছাড়া ছয় মাস বিদ্যালয়ের খেলার মাঠে পানি থই থই করায় সব ধরনের খেলাধুলা বন্ধ রয়েছে।

দশম শ্রেণির ছাত্রী শতাব্দী হালদার জানায়, দীর্ঘ দিন জলে বিদ্যালয়ের মাঠ ও প্রবেশ পথ তলিয়ে থাকায় যাতায়াতে তাদের পড়তে হয়েছে বিপাকে। একাধিক শিক্ষার্থী অভিযোগ করে জানায়, বিদ্যালয়ের নতুন ভবনে এখনও বাথরুম-ল্যান্ট্রিনে যাওয়ার উপযোগী হয়নি। তাছাড়া বিদ্যালয়ের পুরনো বাথরুম তলিয়ে থাকায় বাথরুম-ল্যান্ট্রিনে যেতে পড়তে হচ্ছে কঠিন সমস্যায়।

শিক্ষক কার্তিক চন্দ্র বলেন, প্রায় ২৪০ জন শিক্ষার্থী রয়েছে এ বিদ্যালয়ে। বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা অ্যাসাইমেন্ট সংক্রান্ত বিষয়ে স্কুলে আসে। বিদ্যালয়ে প্রবেশ পথে পানি থাকার কারণে শিক্ষার্থীদের যাতায়াতে সমস্যায় পড়তে হচ্ছে। বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক আবু হানিফা বলেন, নতুন ভবন এখনও হস্তান্তর করা হয়নি। তাছাড়া ভবনের বাথরুম-ল্যান্ট্রিন ঠিক না হওয়ায় শিক্ষার্থীদের পড়তে হচ্ছে বিপাকে।

এলাকার মাছের ঘের মালিকরা পানি সেচ দিয়ে বাগডাঙ্গা-মনোহরনগর খালে ফেলছে। ওই পানি নিষ্কাশিত হতে না পেরে উপচে বিদ্যালয়ের মাঠে ঢুকে হয়েছে কোমর সমান পানি। বিদ্যালয়ের প্রবেশ পথে ইট দিয়ে উঁচু করে যাতায়াতের ব্যবস্থা করা হলেও প্রতিদিন পানি বৃদ্ধির কারণে ওই ইটও তলিয়ে যাচ্ছে।

এ ব্যাপারে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার রবিউল ইসলাম বলেন, মনোহরনগর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের মাঠ পানিতে তলিয়ে যাওয়ার খবর পেয়েছি। উদ্ধর্তন কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি অবগত করানো হয়েছে।

Comment using Facebook