হারুন অর রশীদ, মনিরামপুর
মনিরামপুরে গভীর রাতে বাধাঁঘাট মডেল সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সীমানা প্রাচীর ভেঙ্গে যাতায়াতের জন্য ব্যক্তিগত রাস্তা নির্মাণর অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের দাবীতে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক বাদী হয়ে সোমবার উপজেলা শিক্ষা অফিসার বরাবর লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। মোটা অংকের অর্থের বিনিময়ে ও স্কুল ছুটি থাকার সুযোগে এমন ঘটনা ঘটানো হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। খবর পেয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে যথাযথ ব্যবস্থা নেয়ার আশ্বাস্ত করেন। এলাকাবাসী ও লিখিত অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, সরকারী হাসপাতাল সংলগ্ন মোহনপুর গ্রামের কোরিয়া প্রবাসী আনোয়ারুল ইসলাম বাচ্চু স্থানীয় বাধাঁঘাট মডেল সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের উত্তর পাশে দুইতলা বিশিষ্ট একটি বাড়ি নির্মান করেছেন। কিন্তু পরিবারটি ওই বাড়িতে যাতায়াতের জন্য বিকল্প রাস্তা ব্যবহারের জন্য স্কুল কর্তৃপক্ষের বিনা অনুমতিতে সরকারী স্কুলের প্রাচীর ভেঙ্গে ব্যক্তিগত রাস্তা তেরি করেছেন গত ২২ ডিসেম্বর গভীর রাতে। সূত্র জানায় স্থানীয় দুজন জনপ্রতিনিধির যোগসাজসে মোটা অংকোর অর্থের বিনিময়ে রাতের আধারে এ রাস্তাটি তৈরি করা হয়। ২৬ ডিসেম্বর বাঁধাঘাট মডেল সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সেলিনা আকতার বানু এ বিষয়ে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। প্রধান শিক্ষক সেলিনা আকতার বানু অভিযোগের সত্যত্য নিশ্চিত করে বলেন, স্কুলের সীমানা প্রাচীর ও গ্রীল কেটে রাতের আধারে উত্তর পাশে ৮ ফুট এবং পূর্ব পাশে ৫ফুট একটি রাস্তা তৈরি করে নিয়েছে ওই মহলটি। তিনি মুঠোফোনে আরও বলেন, এ ব্যাপারে আমি এবং স্কুলের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সাথে তারা কোন প্রকার আলোচনা ছাড়াই জায়গাটি দখলে নিয়েছে। তিনি এ ঘটনায় উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের দ্রুত হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন। এ ব্যাপারে জানতে চাইলে সাবেক কোরিয়া প্রবাসী আনোয়ারুল ইসলাম বাচ্চু বলেন, আমাদের চলাচলে রাস্তা তৈরির জন্য বিভিন্ন দপ্তরে যোগাযোগ করে ব্যর্থ হওয়ার পর মনিরামপুর পৌরসভার মেয়র-এর দ্বারস্থ হয়। তিনি চলাচলের রাস্তা সংস্কারসহ দুটি গেট নির্মানের জন্য অনুমতি দেয়ার পর স্কুলের সামান্য প্রাচীর ভেঙ্গে রাস্তা তৈরি করা হয়েছে। উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার সোহেলী ফেরদৌস বলেন, এ ব্যাপারে একটি অভিযোগ আমার দপ্তরে এসেছে। আমি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার সাথে আলোচনা করে পরবর্তী ব্যবস্থ গ্রহন করবো। উপজেলা নির্বাহী অফিসার কবীর হোসেন পলাশ জানান, সরকারী প্রাথমিক স্কুলের সীমানা প্রাচীর পূর্বে যে অবস্থায় ছিলো, তেমনিভাবে নির্মান করে দেয়ার ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।
মনিরামপুরে গভীর রাতে সরকারী স্কুলের প্রাচীর ভেঙ্গে ব্যক্তিগত রাস্তা নির্মাণ
Comment using Facebook