ফুলতলায় কয়লার ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে জেলাপ্রশাসকের দপ্তরে অভিযোগ

0
332

ভৈরব উত্তর অফিস

নিয়ম নীতির তোয়াক্কা না করে ঘন বসতি পূর্ণ অঞ্চলে কয়লা ব্যবসা পরিচালনা করায় ভুক্তভোগী এলাকাবাসী পক্ষে মোঃ নাসির উদ্দিন মোল্যা বাদি হয়ে সরকারের পরিবেশ অধিদপ্তর ও জেলা প্রশাসক খুলনা, উপজেলা নির্বাহী অফিসার, ফুলতলা, খুলনা।

ফুলতলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা, উপজেলা চেয়ারম্যান, ফুলতলা, খুলনা। চেয়ারম্যান ৪নং ফুলতলা ইউনিয়ন পরিষদ, ফুলতলা। খুলনাসহ মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ও স্বরাষ্ট মন্ত্রনালয়ে অভিযোগ করেছে।

অভিযোগের রিসিভ কপি অনুযায়ী জানাগেছে খুলনা জেলার ফুলতলা উপজেলার অন্তর্গত তাজপুর, পঞ্চগ্রাম শিকিরহাট, হতে দক্ষিণডিহী গ্রামে ও ফুলতলা থেকে শিকিরহাট রাস্তার পার্শ্ববর্তী লোকালয় সংলগ্ন কয়েকটি ঘাটে কয়লা উত্তোলন, মজুদ ও পরিবহন করে এলাকা বাসীদের কে চরম ক্ষতির দিকে ঠেলে দিচ্ছে।

অভিযোগে আরো উল্লেখ করেছেন গোলাম শেখের ছেলে মোঃ ফরিদ শেখ সাধারন মানুষের কথা না ভেবে লোকালয়ে প্রতিনিয়ত দিবা-রাত্রে শত শত ট্রাক কয়লা লোড-আনলোড করছে। যা স্থার্নীয়দের চরম ঝুকির মধ্য ফেলে দিয়েছে। অথচ এ অঞ্চল অত্যন্ত ঘনবসতি হওয়ায় এখানে গড়ে উঠেছে ৫টি সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, ৪টি মাদ্রাসা, ৩টি মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও ২টি কলেজ।

দরখাস্তে আরো উল্লেখ করেছেন একমাত্র এই কয়লার ঘাটের কয়লার দুর্বিষসহ ঝাঁঝালো গন্ধের কারনে স্থায়ী বসবাসকারি, পথচারী ও শিক্ষার্থীদের মাঝে শ্বাসকষ্ট, এ্যাজমা, ও হৃদরোগ সহ প্রভৃতি রোগের প্রাদুর্ভাব দেখা দিয়েছে। কয়লার গ্যাসের কারনে শিশু বাচ্ছা ও বৃদ্ধদের বিভিন্ন রোগ সৃষ্টি হচ্ছে, মসজিদ কয়লা ঘাটের পাশে হওয়ায় নামাজ পড়ার সময় মুসল্লিদের কয়লার গন্ধের কারনে নামাজে বিঘ্নতা সৃষ্টি হচ্ছে এবং গর্ভবতী মহিলাদের স্বাস্থ্যের চরম অবনতি হচ্ছে। এলাকার গাছ-গাছালির উপর কয়লার আবরণ জমা হয়ে গাছ-গাছালি মারা যাচ্ছে। অভিযোগে সঠিক বিচার চেয়েছে এলাকাবাসী। ফুলতলা কয়লা ব্যবসায়িদের লাগাম টেনে ধরতে অবশেষে এলো চিঠি।

গনপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের জেলা প্রশাসকের কার্যালয় খুলনার জে এম শাখার সহকারি কমিশনার ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট তাহমিনা সুলতানা নীলা তার স্বাক্ষরি ০৫.৪৪.৪৭০০.০২১.২৭.০০২.২২-১১৪ নং স্বারকের এক চিঠি থেকে অভিযোগের বিষয়ে বিধিগত আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহনের নির্দেষক্রমে অনুরোধ করেছেন।

চিঠিতে তিনি উল্লেখ করেছেন ফুলতলা নিবাসী নাসির উদ্দিন মোল্যা কর্তৃক অভিযোগ আনের যে মৃত গোলাম শেখের ছেলে মোঃ ফরিদ শেখ কয়লা ব্যবসা করায় পরিবেশের ক্ষতি হচ্ছে। সূত্র নিশ্চিত করেছেন যে সূত্রে বর্ণিত তথ্য অর্থাৎ আবেদন কারির অভিযোগের বিষয়ে ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য ফুলতলা উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য ইতি মধ্য তিনি কাজ শুরু করেছেন।

Comment using Facebook