কালিগঞ্জ (সাতক্ষীরা) সংবাদদাতা
সাতক্ষীরার কালিগঞ্জ উপজেলার আম গাছ গুলোতে মুকুলে মুকুলে ভরে গেছে। চারদিকে ছড়িয়ে পড়ছে এই মুকুলের পাগল করা ঘ্রাণ।
পাশাপাশি মধু মাসের আগমনী বার্তা শোনাচ্ছে আমের মুকুল। পল্লীকবি জসীম উদ্দিনের ‘মামার বাড়ি’ কবিতা আয় ছেলেরা, আয় মেয়েরা।
ফুল তুলিতে যাই, ফুলের মালা গলায় দিয়ে মামার বাড়ি যাই। ঝড়ের দিনে মামার দেশে আম কুড়াতে সুখ,পাকা জামের মধুর রসে রঙিন করি মুখ। তার বাস্তব রূপ পেতে বাকি রয়েছে আর মাত্র কয়েক মাস। আমের মুকুলের সুমিষ্ট সুবাস আন্দোলিত করে তুলছে মানুষের মন।
মুকুলের মৌ মৌ ঘ্রাণে এগাছ থেকে ওগাছে ছুটছে মৌমাছির দল। উপজেলার সর্বত্র গাছে গাছে ভরে গেছে আমের মুকুল। শোভা ছড়াচ্ছে নিজস্ব মহিমায়। মুকুলে ভরে গেছে বাগানগুলো। প্রায় ৮০ থেকে ৯০ শতাংশ গাছেই এসেছে মুকুল। সেই সাথে রঙিন-বন ফুলের সমারোহে প্রকৃতি সেজেছে বর্ণিল সাজে। প্রাকৃতিক দুরে্যাগ না হলে এবং সময়মতো পরিচর্যা হলে চলতি মৌসুমে আমের ভালো ফলন হবে। আর এ কারণেই আশায় বুক বেধে আম চাষীরা শুরু করেছেন পরিচর্যা। তাদের আশা, চলতি মৌসুমে তারা আম থেকে অর্থনৈতিক ভাবে লাভবান হবেন।
কালিগঞ্জ সদর, কুশলিয়া, বালিয়াডাঙ্গা, রতনপুর, দঃ শ্রীপুর, নলতা, কালিয়াকাপুর সহ প্রায় সব এলাকাতেই রয়েছে আম বাগান। লাভজনক হওয়ায় প্রতি বছরই আম বাগানের সংখ্যা বাড়ছে। তবে গড়ে ওঠা নতুন আম বাগানগুলোর প্রায়ই বনেদি জাতের। বিশেষ করে নিয়মিত জাত ল্যাংড়া, গোপালভোগ, হিমসাগর, আমরুপালী ও মল্লিকা জাতেরই গাছ বেশি হচ্ছে।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা ইকবাল আহমেদ সাংবাদিককে জানান, কালীগঞ্জ উপজেলার বিরাজমান আবহাওয়া ও মাটি আম চাষের জন্য বিশেষ উপযোগী। এ বছর আবহাওয়া অনুকূল থাকায় আমের উৎপাদন গত বছরের তুলনায় অনেক বেশি পাওয়ার আশা করা যাচ্ছে। আবহওয়া অনুকূলে থাকায় এবার গাছে খুব একটা কীটনাশক প্রয়োগের প্রয়োজন নেই। তবে ছাত্রাকজনিত রোগেও আমের মুকুল-ফুলগুটি আক্রান্ত হতে পারে।
এ ক্ষেত্রে ম্যানকোজেট গ্রুপের ছাত্রাকনাশক দুই গ্রাম অথবা ইমাডোক্লোরিড গ্রুপের দানাদার প্রতি লিটার পানিতে দশমিক দুই গ্রাম, তরল দশমিক ২৫ মিলিলিটার ও সাইপারম্যাক্রিন গ্রুপের কীটনাশক প্রতি লিটার পানিতে এক মিলিমিটার মিশিয়ে স্প্রে করতে হবে।