বাগেরহাট সংবাদদাতা
অভয়নগর ও বাগেরহাটে প্রেমিকাকে ভিডিও কলে রেখে দুই প্রেমিকের আত্মহত্যার ঘটনা ঘটেছে।
স্থানীয়রা জানিয়েছেন, অভয়নগর উপজেলার সুন্দলী ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ডের ধোপাপাড়া গ্রামে সাধুর একমাত্র ছেলে তার প্রেমিকাকে মোবাইলের ভিডিও কলে রেখে প্রেমিকের ভালোবাসা পেতে মৃত্যুর অভিনয় করতে যায়।
এসময় অসাবধনতার কারণে তার করুন মৃত্যু হয়। পরিবারের পক্ষ থেকে জানিয়েছে, তার একটি মেয়ের সাথে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। সেই সম্পর্ক আরও গাড় করতে বুধবার সকালে দুইটি গামছা জোড়া লাগিয়ে নিজ ঘরের ডাবার সাথে বেধে গলায় ফাঁস লাগিয়ে প্রেমিকাকে ভিডিও কলের মাধ্যমে জানায় আমি তোমার জন্য মরতে পারি। দেখ আমি গলায় ফাঁস দিয়ে তোমার জন্য জীবন দিব। অসাবধনতা বশত পায়ের নীচ থেকে টুল সরে গিয়ে গলায় ফাঁস লেগে যায়। এসময় প্রেমিকা দ্রুত মোবাইল ফোনে প্রেমিকের পরিবারে জানায় যে, তাদের ছেলে ঘরের মধ্যে গলায় ফাঁস আটকে গেছে।
কিন্তু ঘরের দরজা খুলে তাকে উদ্ধার করার আগেই তার মৃত্যু হয়। অপরদিকে বাগেরহাটে প্রেমিক সুমন সেখ (২৪) ফ্যানের সাথে গলায় রশি দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন। বুধবার (২৬ জানুয়ারি) বিকেলে শহরতলীর দশানী চালিতাতলা এলাকায় ওই প্রেমিক তার নিজের চাচার বাড়ির ঘরে ফ্যানের সাথে ঝুলে আত্মহত্যা করে।
বাগেরহাট সদর মডেল থানা পুলিশ খবর পেয়ে বিকেলেই যুবকের লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য সদর হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করেছে। সুমন সেখ সদর উপজেলার সাবেকডাঙ্গা গ্রামের আবু বক্কার সেখের ছেলে। শহরতলীর দশানী চালিতাতলা এলাকায় চাচার বাড়িতে থেকে চাচার বাড়িঘর দেখাশুনা করতেন এবং উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের লেখা-পড়া করছিলেন। সুমনের চাচী ও পরিবারের লোকজনের বরাত দিয়ে বাগেরহাট সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কেএম আজিজুল ইসলাম বলেন, প্রেমঘটিত কারণে প্রেমিকার সাথে বিরোধ করে প্রেমিকাকে মোবাইল ফোনে ভিডিও কল দিয়ে দেখিয়ে ঘরের মধ্যে ফ্যানের সাথে গলায় রশি দিয়ে ঝুলে আত্মহত্যা করে সুমন সেখ।
ঘটনাস্থল থেকে সুমনের মোবাইল ফোনটি কল রানিং অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় প্রাথমিকভাবে একটি অপমৃত্যু মামলা রেকর্ড হবে বলে জানান থানার ওসি। তদন্তের স্বার্থে প্রেমিকার নাম পরিচয় আপতত গোপন রাখা হয়েছে।