বাঘারপাড়া সংবাদদাতা
জলাবদ্ধতার কারণে প্রায় এক হাজার বিঘা জমিতে ফসল ফলাতে পারেনা বাঘারপাড়ার ভোগের বিলের চাষীরা। বর্ষা হলে জলবদ্ধতায় চাষের স্বপ্ন ফিকে হয় এসব ভুক্তভোগী চাষীদের।
দীর্ঘদিন ধরে এলাকাবাসী খাল খননের দাবি জানিয়ে আসলেও তা বাস্তবায়ন হয়নি। জলবদ্ধতা থেকে পরিত্রান পেতে স্বেচ্ছাশ্রমে খাল খনন কাজ শুরু করেছেন এলাকার চাষীরা। দীর্ঘদিনের সমস্যা বাঘারপাড়ার ‘ভোগের বিলে’ জলাবদ্ধতা । যা নিরসনে এগিয়ে আসেনি কেউ। যার ফল বর্তমানে প্রায় এক হাজার বিঘা জমি রয়েছে পানির নিচে।
পানি না সরাতে পারলে চরম ক্ষতির মুখে পড়বেন পাঁচ গ্রামের প্রায় দেড় হাজার কৃষক। যে কারণে গতকাল স্বেচ্ছাশ্রমে খাল খননের কাজ শুরু করেন ভুক্তভোগী কৃষকেরা। এর আগে এলাকায় মাইকিং করে খনন কাজে অংশ নেওয়ার আহবান জানানো হয়। এতে অংশ নেন অর্ধ শতাধিক কৃষক।
দিনব্যাপি চলে তাদের এই কর্মযজ্ঞ। কিছুটা হলেও ক্ষতি পুষিয়ে নিতে পারবেন বলে জানান তারা। উপজেলার রায়পুর ইউনিয়নের শেখেরবাতান, সদুল্যাপুর, ধুপখালি, শালবরাট ও আজমেহেরপুর গ্রামে নিয়ে ভোগের বিলের অবস্থান।
শেখের বাতান গ্রামের কৃষক কওছার মোল্যা জানান, ভোগের বিলে ১০ বিঘা জমি রয়েছে তার। পানি জমে থাকায় চাষের প্রস্তুতি নিতে পারছেন না। গত বছর বর্ষা কম থাকায় কিছু জমিতে চাষাবাদ করতে পারলেও এবার চাষ করতে পারবেন কিনা তা নিয়ে দুশ্চিন্তায় রয়েছেন তিনি। একই এলাকার কৃষক হারুন-অর-রশিদ বলেন,‘বাপ দাদার আমল থেকে ক্ষতির উপর আছে চাষীরা। বর্ষা কম হলে চাষ মোটামুটি চাষাবাদ হয়। আর বেশি হলে হাজার হাজার বিঘা জমি পানিতে ডুবে যায়।
ধুপখালি গ্রামের কৃষক শফিয়ার রহমান জানান, স্বেচ্ছাশ্রমে খাল খনন করার কারণে উপরের কিছু জমিতে চাষাবাদ করা যাবে। তবে নিচু জমিতে পানি থাকায় চাষ করা যাচ্ছে না। তার তিন বিঘা জমি পানিতে তলিয়ে আছে বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
ভেগের বিলের এ সমস্য নিয়ে স্থানীয় রায়পুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মঞ্জুর রশিদ স্বপন বলেন,‘ভোগের বিলের পাশের নালাটি ব্যক্তি মালিকানার। এ জন্য সরকারিভাবে খনন কাজ করা সম্ভব হয়নি। তবে এ সমস্যা নিরসনে আমি নিয়মিত খোঁজখবর রাখছি।’