কেশবপুরে অসময়ে বৃষ্টি ৫০ লাখ কাঁচা ইট নষ্ট

0
196

আজিজুর রহমান কেশবপুর (যশোর)

কেশবপুরে অসময়ে বৃষ্টি হওয়ায় তৈরি করা প্রায় ৫০ লাখ কাচাঁ ইট নষ্ট হয়ে যাওয়াসহ ১ কোটি ১০ লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে ইট ভাটার মালিকদের নিকট থেকে জানা গেছে। শুক্রবার ৪ ফেব্রুয়ারি সকাল থেকে হঠাৎ বৃষ্টিপাত শুরু হয়ে রাত পর্যন্ত বৃষ্টির প্রভাবে উপজেলার বিভিন্ন ইট ভাটায় কাঁচা ইট ভিজে প্রায় ১ কোটি ১০ লাখ টাকার ক্ষয় ক্ষতি হয়েছে বলে দাবী ভাটা মালিকদের । জানা গেছে উপজেলায় ১১ টি ইট ভাটা রয়েছে।

এ ইট ভাটাগুলোতে পুরোদমে নতুন ইট উৎপাদনের কাজ চলছিল। অসময়ে হঠাৎ বৃষ্টি শুরু হলে এর প্রভাবে প্রত্যেকটি ইট ভাটা মালিকদের কম বেশি সকলেই ক্ষতির শিকার হয়েছে।

হঠাৎ বৃষ্টিপাতে নতুন তৈরি কাঁচা ইট অপসারণ করতে পারেননি তারা। শুক্রবার সকাল থেকে রাত পর্যন্ত থেমে থেমে ভারি বৃষ্টি হওয়ায় ভেঙ্গে চুরে যায় লক্ষ লক্ষ ইট। মঙ্গলবার ৮ ফেব্রুয়ারি দুপুরে সরেজমিনে মেসার্স আলম ব্রিকস, মেসার্স রহমান ব্রিকস, মেসার্স গাজী ব্রিসক, কেশবপুর ব্রিকস, ইট ভাটায় গিয়ে চোখে পরে এমন দৃশ্য।

কয়েকটি ইট ভাটা মালিকের সাথে কথা বলে জানা গেছে, মৌসুমের মাঝামাঝি সময়ে অনাকাঙ্খিত বৃষ্টির কারণে তাদের অনেক লোকসান হয়েছে। এ বৃষ্টির কারনে নতুন ইট তৈরি বন্ধ রয়েছে। শ্রমিকেরাও আপাতত কয়েক দিন বেকার হয়ে বসে থাকবে।

এদিকে কয়লার মূল্য বৃদ্ধি, বিরূপ আবহাওয়া ও বৃষ্টিপাতের কারণে ইট ভাটা মালিকরা অর্থনৈতিক বড় ক্ষতির সম্মুখিন হওয়ায় তা কাটিয়ে ওঠা অনেকের পক্ষেই কষ্টকর হয়ে পরবে বলে জানান ইট ভাটা মালিকরা। উপজেলা ইট ভাটা মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক ও আলম ব্রিকসের স্বত্বাধিকারী মোঃ সাইফুল ইসলাম সাংবাদিকদের জানান, ১১টি ইট ভাটা চলমান রয়েছে।

অসময়ের বৃষ্টিতে তাদের ইট ভাটায় প্রায় ৫০ লাখ নতুন তৈরি কাঁচা ইট নষ্ট হয়ে গেছে। ইট নষ্ট হয়ে যাওয়ার ফলে প্রায় ১ কোটি ১০ লাখ টাকা ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। এই ইটগুলো পোড়াতে পারলে তা থেকে প্রায় ৫ কোটি টাকা বিক্রি করা যেত। তিনি আরো বলেন, এ মাটি পুনরায় ব্যবহার করা সম্ভব হলেও, ইটগুলো তৈরীতে শ্রমিকদের টাকা দিতে হবে, আবার অপসারণ করতে ও নতুন করে তৈরি করতে অতিরিক্ত টাকা ব্যয় হবে। এতে করে ভাটা মালিকদের বড় অংকের টাকা লোকসানে পড়তে হচ্ছে।

Comment using Facebook