যশোর জেলা পরিষদ নির্বাচন : ভোট গ্রহণ হবে যেখানে ও ভোটার এলাকার পরিচিতি

0
207


স্টাফ রিপোর্টার
যশোর জেলা পরিষদ নির্বাচনে প্রতিটি ভোটকেন্দ্র সিসি ক্যামেরার মাধ্যমে কেন্দ্রীয়ভাবে মনিটরিং করবে নির্বাচন কমিশন। ভোটকেন্দ্রে মোবাইল ফোন নিষিদ্ধ করা হয়েছে। কোন পোলিং এজেন্ট নিজ আসনের বাইরে ভোট প্রদানের সহায়তার অজুহাতে ইভিএম মেশিনে হস্তক্ষেপ করলে ভোট কার্যক্রমে বাধাগ্রস্থের দ-ে তিনি দ-িত হবেন। ভোট কেন্দ্রে কেউ বিশৃংখলা করলে তৎক্ষনাৎ ভোট গ্রহণ বন্ধ করা হবে। একইভাবে ভোট গ্রহণ শেষ হওয়ার এক ঘন্টা আগে থেকে ভোটগ্রহণ শেষ না হওয়া পর্যন্ত কোন অবস্থাতেই ভোটকক্ষ ত্যাগ করতে পারবে না। এছাড়া ভোট হবে ইভিএমএ, প্রতিটি ভোটকেন্দ্র কেন্দ্রীয়ভাবে মনিটরিং করবে কমিশন, ভোটকেন্দ্রে মোবাইল ফোন নিষিদ্ধ, সহায়তার অজুহাতে ভোটপ্রদান প্রভাবিত করলে দ-, বিশৃংখলা ঘটালে তৎক্ষনাৎ ভোট বন্ধ, ভোটগ্রহণ শেষ না হওয়া পর্যন্ত কক্ষ ত্যাগ করতে পারবেন না পোলিং এজেন্ট। বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন থেকে বিগত ৩ ও ১০ অক্টোবর পত্রজারির মাধ্যমে এ সব নির্দেশনা প্রদান করা হয়েছে। আগামী ১৭ অক্টোবর যশোর জেলা পরিষদ নির্বাচনে ভোট হবে ইভিএমে। এই নির্বাচনে মোট ভোট কেন্দ্রের সংখ্যা ৮টি এবং ভোটকক্ষের সংখ্যা ১৬টি। প্রতিটি কেন্দ্রে নারী ও পুরুষের জন্য থাকবে আলাদা বুথ। সুষ্ঠুভাবে জেলা পরিষদ নির্বাচনে আবশ্যিক নির্দেশনা প্রদান করেছে নির্বাচন কমিশন। ১০ অক্টোবর নির্বাচন পরিচালনা-২ অধিশাখার উপসচিব আতিয়ার রহমান স্বাক্ষরিত পত্রে ভোটদান কক্ষের গোপনীয়তা বিষয়ক নির্দেশনায় বলা হয়েছে, ভোট চলাকালীন কোন ভোটার ভোট প্রদানের সময় গোপন কক্ষে কিংবা সন্নিহিত স্থানে অবৈধভাবে অবস্থান করে কোন ব্যক্তি যাতে ভোট প্রদানের গোপনীয়তাকে বাধাগ্রস্থ না করে অথবা ইভিএমএ ভোট প্রদানের নিয়মাবলী অবহিত করার অজুহাতে ব্যালট ইউনিটে কোনরূপ হস্তক্ষেপ করতে না পারে অথবা ভোটারকে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে প্রভাবিত করতে না পারে তা কঠোরভাবে পর্যবেক্ষণ ও নিশ্চিত করার জন্য নির্বাচন কমিশন সিদ্ধান্ত প্রদান করেছেন। একইভাবে ভোটকক্ষে বা গোপনকক্ষে অবৈধভাবে অবস্থান করে কোন ব্যক্তি উপরোল্লিখিত প্রক্রিয়ার অবৈধ কার্য সাধন করলে সংশ্লিষ্ট ভোটকক্ষের ভোটগ্রহণ কার্যক্রম তাৎক্ষণিকভাবে স্থগিত করতঃ উক্ত ব্যক্তিকে ভোটকেন্দ্র থেকে অপসারণ করে তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করার জন্য নির্বাচন কমিশন সিদ্ধান্ত প্রদান করেছেন। উক্তরূপ ব্যক্তিকে বর্ণিত উপায়ে ভোটকেন্দ্র থেকে অপসারণ করার পরই কেবল বিধি ও পদ্ধতিগতভাবে ভোটগ্রহণ কার্যক্রম পুনরায় শুরু করা যাবে। ভোটকক্ষে অবস্থানকারী পোলিং এজেন্টগণ যাতে তাদের জন্য নির্ধারিত দায়িত্বের বাইরে প্রচারণা বা অন্যকোন কর্মকান্ডে অংশগ্রহণ করতে না পারে বিশেষ করে ভোট প্রদানের গোপনীয়তা সম্পর্কিত বর্ণিত কার্যক্রমে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে তারা যেন কোনভাবেই অংশগ্রহণ করতে না পারে এবং ভোটকেন্দ্র নিজ অবস্থান ব্যতিত অন্যকোন স্থানে গমন করতে না পারে তার জন্য বিশেষ ভাবে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। অনুরূপ ৩ অক্টোবর বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশনের নির্বাচন ব্যবস্থাপনা ও সমন্বয় শাখা-২ এর সহকারী সচিব মোহাম্মদ আশফাকুর রহমান স্বাক্ষরিত পত্রে জানানো হয়েছে, সুষ্ঠুভাবে ভোটগ্রহণ কার্যক্রম গ্রহণের লক্ষ্যে ভোটকেন্দ্র ও ভোটকক্ষে মোবাইল ফোন নিষিদ্ধ করেছে। পরিপত্রে বলা হয়েছে, কোন পোলিং এজেন্ট বা নির্বাচনী এজেন্ট ভোটকক্ষে কোন মোবাইল ফোন ব্যবহার করতে পারবেন না। তাছাড়া কোন অবস্থাতেই কোন ভোটার মোবাইল নিয়ে ভোটকক্ষে প্রবেশ করতে পারবেন না। ভোটকক্ষে ভোটার বা পোলিং এজেন্ট অথবা অন্যকোন ব্যক্তি মোবাইল ফোন নিয়ে প্রবেশ করতে না পারেন প্রিজাইডিং অফিসার এ বিষয়ে নিশ্চয়তা বিধান করবেন। একইভাবে কোন পোলিং এজেন্ট ভোট গ্রহণ শেষ হওয়ার এক ঘন্টা আগে থেকে ভোটগ্রহণ শেষ না হওয়া পর্যন্ত কোন অবস্থাতেই ভোটকক্ষ ত্যাগ করতে পারবে না। যশোর জেলা নির্বাচন অফিস সূত্রের তথ্য অনুযায়ী, জেলা পরিষদ নির্বাচনে মোট ভোটার সংখ্যা ১ হাজার ৩১৯ জন, যার মধ্যে পুরুষ ভোটার ১ হাজার ৭ জন এবং মহিলা ভোটার ৩১২ জন। প্রতিটি কেন্দ্রে নারী ও পুরুষের জন্য থাকবে আলাদা বুথ। মোট ভোট কেন্দ্রের সংখ্যা ৮টি এবং ভোটকক্ষের সংখ্যা ১৬টি। জেলা পরিষদ ১নং ওয়ার্ড- ভোট কেন্দ্র শার্শা উপজেলা পরিষদ মিলনায়তন। এই কেন্দ্রে মোট ভোটার সংখ্যা ১৪৩, যার মধ্যে পুরুষ ১০৯ এবং নারী ৩৪ জন। এই কেন্দ্রে ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন শার্শা উপজেলা পরিষদ, বেনাপোল পৌরসভা, ডিহি, লক্ষণপুর, বাহাদুরপুর, বেনাপোল, পুটখালী, গোগা, কায়বা, বাগআঁচড়া, উলাশী, শার্শা ও নিজামপুর ইউনিয়ন পরিষদের জনপ্রতিনিধিরা। জেলা পরিষদ ২নং ওয়ার্ড- ভোট কেন্দ্র ঝিকরগাছা উপজেলা পরিষদ মিলনায়তন। এই কেন্দ্রে মোট ভোটার সংখ্যা ১৫৯, যার মধ্যে পুরুষ ১২২ এবং নারী ৩৭ জন। এই কেন্দ্রে ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন ঝিকরগাছা উপজেলা পরিষদ, ঝিকরগাছা পৌরসভা, গঙ্গানন্দপুর, মাগুরা, শিমুলিয়া, গদখালী, পানিসারা, ঝিকরগাছা, নাভারণ, নির্বাসখোলা, হাজিরবাগ, শংকরপুর ও বাঁকড়া ইউনিয়ন পরিষদের জনপ্রতিনিধিরা। জেলা পরিষদ ৩নং ওয়ার্ড- ভোট কেন্দ্র চৌগাছা উপজেলা পরিষদ মিলনায়তন। এই কেন্দ্রে মোট ভোটার সংখ্যা ১৫৯, যার মধ্যে পুরুষ ১২১ এবং নারী ৩৮ জন। এই কেন্দ্রে ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন চৌগাছা উপজেলা পরিষদ, চৌগাছা পৌরসভা, ফুলসারা, পাশাপোল, সিংহঝুলী, ধুলিয়ানী, চৌগাছা, জগদীশপুর, পাতিবিলা, হাকিমপুর, স্বরূপদাহ, নারায়নপুর, সুখপুকুরিয়া ইউনিয়ন পরিষদের জনপ্রতিনিধিরা। জেলা পরিষদ ৪নং ওয়ার্ড- ভোট কেন্দ্র অভয়নগর উপজেলা পরিষদ মিলনায়তন। এই কেন্দ্রে মোট ভোটার সংখ্যা ১১৯, যার মধ্যে পুরুষ ৯১ এবং নারী ২৮ জন। এই কেন্দ্রে ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন অভয়নগর উপজেলা পরিষদ, নওয়াপাড়া পৌরসভা, প্রেমবাগ, সুন্দলী, চলিশিয়া, পায়রা, শ্রীধরপুর, বাঘুটিয়া, শুভরাড়া, সিদ্দিপাশা ইউনিয়ন পরিষদের জনপ্রতিনিধিরা। জেলা পরিষদ ৫নং ওয়ার্ড- ভোট কেন্দ্র বাঘারপাড়া উপজেলা পরিষদ মিলনায়তন। এই কেন্দ্রে মোট ভোটার সংখ্যা ১৩৩, যার মধ্যে পুরুষ ১০১ এবং নারী ৩২ জন। এই কেন্দ্রে ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন বাঘারপাড়া উপজেলা পরিষদ, বাঘারপাড়া পৌরসভা, জহুরপুর, বন্দবিলা, রায়পুর, নারকেলবাড়ীয়া, ধলগ্রাম, দোহাকুলা, দরাজহাট, বাসুয়াড়ী ও জামদিয়া ইউনিয়ন পরিষদের জনপ্রতিনিধিরা। জেলা পরিষদ ৬নং ওয়ার্ড- ভোট কেন্দ্র যশোর কালেক্টরেট স্কুল। এই কেন্দ্রে মোট ভোটার সংখ্যা ২১০, যার মধ্যে পুরুষ ১৬০ এবং নারী ৫০ জন। এই কেন্দ্রে ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন যশোর সদর উপজেলা পরিষদ, যশোর পৌরসভা, হৈবতপুর, লেবুতলা, ইছালী, নওয়াপাড়া, উপশহর, কাশিমপুর, চুড়ামনকাটি, দেয়াড়া, আরবপুর, চাঁচড়া, রামনগর, ফতেপুর, কচুয়া, নরেন্দ্রপুর ও বসুন্দিয়া ইউনিয়ন পরিষদের জনপ্রতিনিধিরা। জেলা পরিষদ ৭নং ওয়ার্ড- ভোট কেন্দ্র মণিরামপুর উপজেলা পরিষদ মিলনায়তন। এই কেন্দ্রে মোট ভোটার সংখ্যা ২৩৭, যার মধ্যে পুরুষ ১৮১ এবং নারী ৫৬ জন। এই কেন্দ্রে ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন মণিরামপুর উপজেলা পরিষদ, মণিরামপুর পৌরসভা, রোহিতা, কাশিমনগর, ভোজগাতী, ঢাকুরিয়া, হরিদাসকাটি, মণিরামপুর, খেদাপাড়া, হরিহরনগর, ঝাঁপা, মশ্মিমনগর, চালুয়াহাটি, শ্যামকুড়, খানপুর, দূর্বাডাঙ্গা, কুলটিয়া, নেহালপুর, মনোহরপুর ইউনিয়ন পরিষদের জনপ্রতিনিধিরা। জেলা পরিষদ ৮নং ওয়ার্ড- ভোট কেন্দ্র কেশবপুর উপজেলা পরিষদ মিলনায়তন। এই কেন্দ্রে মোট ভোটার সংখ্যা ১৫৯, যার মধ্যে পুরুষ ১২২ এবং নারী ৩৭ জন। এই কেন্দ্রে ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন কেশবপুর উপজেলা পরিষদ, কেশবপুর পৌরসভা, ত্রিমোহিনী, সাগরদাঁড়ী, মজিদপুর, বিদ্যানন্দকাটি, মঙ্গলকোট, কেশবপুর, পাঁজিয়া, সুফলাকাটি, গৌরিঘোনা, সাতবাড়ীয়া, হাসানপুর ইউনিয়ন পরিষদের জনপ্রতিনিধিরা। সুষ্ঠু ও অবাধ নির্বাচনের আশাবাদ ব্যক্ত করে যশোর জেলা প্রশাসক তমিজুল ইসলাম খান বলেন, নির্বাচন পরিচালনায় নির্বাচন কমিশনের নির্দেশনা বাস্তবায়নে জেলা প্রশাসন বদ্ধপরিকর। আইন শৃংখলা রক্ষায় জিরো টলারেন্সে থাকবে প্রশাসন। ভোটকেন্দ্র সিসি ক্যামেরা নিয়ন্ত্রিত থাকায় অনিয়মের কেউ সুযোগ পাবে না।

Comment using Facebook