দেবহাটা (সাতক্ষীরা) সংবাদদাতা
বাংলাদেশ-ভারতের আন্তর্জাতিক সীমানা নির্ধারনী দেবহাটার ইছামতি নদীর ইজারা বর্হিভূত স্থাান থেকে অবৈধভাবে ড্রেজার মেশিন দিয়ে বালু উত্তোলনের অভিযোগ মিলেছে সাতক্ষীরা জেলা পরিষদের স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী খলিলুল্লাহ ঝড়ু’র বিরুদ্ধে। তিনি সাতক্ষীরা সদরের প্রানসায়ের ন্যাশনাল ব্যাংক রোডের বাসিন্দা গোলাম খয়বর সরদারের ছেলে। সাতক্ষীরার বালুমহাল ব্যবস্থাাপনা কমিটির কাছ থেকে চলতি বছরে প্রায় ২৬ লক্ষ টাকায় দেবহাটার চর ছুটিপুর বালু মহালটি ইজারা নিয়েছিলেন খলিলুল্লাহ ঝড়ু। কিন্তু ইজারাকৃত চর ছুটিপুর বালু মহালের পাশাপাশি দীর্ঘদিন ধরে সরকারি আইন ভঙ্গ করে দেবহাটা থানা ভবন ও রূপসী ম্যানগ্রোভ পর্যটন কেন্দ্রের পাশ্ববর্তী এলাকা থেকে একাধিক ড্রেজার মেশিনের মাধ্যমে মোটা বালু উত্তোলন ও বিক্রির মহোৎসব চালিয়ে আসছিলেন তিনি। অবৈধভাবে মাত্রাতিরিক্ত বালু উত্তোলনের ফলে উপজেলার বিস্তৃর্ণ সীমান্ত এলাকার বেশ কয়েকটি পয়েন্টে নদী ভাঙনের সৃষ্টি হয়েছে। পাশাপাশি রূপসী ম্যানগ্রোভ পর্যটন কেন্দ্র এবং থানা ভবন সহ সরকারী বেসরকারী স্থাাপনাও তীব্র ভাঙন ঝুঁকিতে রয়েছে। বৃহষ্পতিবার অবৈধভাবে ড্রেজার মেশিনের মাধ্যমে বালু উত্তোলনকালে সেখানে মোবাইল কোর্টের অভিযান পরিচালনা করেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট খালিদ হোসেন সিদ্দিকী। এসময় সেখান থেকে খলিলুল্লাহ ঝড়ু’র ম্যানেজার পারুলিয়া ইউনিয়ন যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক রাসেল আহমেদকে গ্রেফতার করে ৬ মাসের কারাদন্ড প্রদান করে মোবাইল কোর্ট। আশাশুনীর খোলপেটুয়া নদী এবং কালীগঞ্জের একাধিক নদী থেকেও ইজারা বর্হিভূত ও অবৈধভাবে ড্রেজার মেশিন দিয়ে বালু উত্তোলনের অভিযোগ রয়েছে খলিলুল্লাহ ঝড়ুর বিরুদ্ধে। এব্যাপারে নির্বাহী অফিসার এবিএম খালিদ হোসেন সিদ্দিকী বলেন, অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের বিষয়টি ধরা পড়লে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা হয়। এসময় ওই বালু উত্তোলনকারী প্রতিষ্ঠানের প্রধান খলিলুল্লাহ ঝড়ুকে ফোনে ডাকা হলেও, তিনি আসেননি। পরে বালু উত্তোলনকাজে নিয়োজিত খলিলুল্লাহ ঝড়ু’র ম্যানেজার রাসেল আহমেদকে কারাদন্ড প্রদান করা হয়।
Comment using Facebook