অভয়নগরে ভিপি জমিতে মার্কেট তৈরি করে বিক্রয়ের অভিযোগ : সাংবাদিক পরিচয়ে চাঁদা দাবি!

0
198


স্টাফ রিপোর্টার
অভয়নগর উপজেলার ৬নংবাঘুটিয়া ইউনিয়নের চাকই মরিচা বাজার সংলগ্ন সরকারি ডিসিআর ভূক্ত জমিতে মার্কেট তৈরি করে কোটি টাকা বিক্রয় করে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। এদিকে মার্কেট দেখভালের দায়িত্বে থাকা সৌমিত্র রায়ের কাছে সাংবাদিক পরিচয়ে ১০ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করায় ভুক্তভোগী সৌমিত্র রায় অভয়নগর থানায় একটি অভিযোগ করেছেন। ঘটনার সত্যতা যাচাই করতে মাঠে নামে দৈনিক নওয়াপাড়া, হাতে এসেছে বেশকিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য। জানাগেছে বাংলাদেশ সরকারের উপজেলা ভূমি অফিস অভয়নগর যশোর। স্মারক নং- ৩১.৪০.৪১০৪.৫০৮.৩২.০০২.২০-৪০। তারিখঃ ২৪.০১.২১ : ডিপি ৩৩-এএন/৮৪ নম্বর নথিভূক্ত ইজারাকৃত জমিতে সেমিপাকা ঘর নির্মাণের অনুমতি প্রদান, সুরা জেলা প্রশাসক, (রাজস্ব) যশোর এর কার্যালয়ের অর্পিত সম্পত্তি সেল শাখার স্মারক নম্বর ০৫.৪৪.৪১০০.০১৮.০৬.০০২.২০২০.২৭ তারিখ ০৬.০১.২১। উপযুক্ত বিষয়ের পরিপ্রেক্ষিতে স্বপন কুমার রায় অভয়নগর, যশোর এর আবেদনের প্রেক্ষিতে নিজ খরচে সেমিপাকা ঘর/ আবাসিক ঘর ও আধাপাকা ঘর (মেঝে পাকা, দেয়াল পাকা টিনের ছাদ তৈরি করার অনুমতি প্রদান করা হয়েছে। এমতাবস্থায়, লীজ গ্রহিতাকে লীজের শর্ত সমূহ প্রতিপালনসহ নিজ খরচে ইজারাকৃত জমিতে সেমিপাকা ঘর/ আবাসিক ঘর ও আধাপাকা ঘর (মেঝে পাকা, দেয়াল পাকা, টিনের ছাদ নির্মাণের জন্য বলা হয়)। অনুমতি পত্রে আরো উল্লেখ রয়েছে ডিপি সহকারী, উপজেলা ভূমি অফিস, ও ইউনিয়ন ভূমি সহকারী কর্মকর্তা, ভাটপাড়া ইউনিয়ন ভূমি অফিস, অভয়নগর, যশোর। (তাকে লীজ প্রদানকৃত সম্পত্তির তদারকির জন্য বলা হলো)। অত্র অনুমোদনের কপিতে স্বাক্ষর করেছেন অভয়নগরের তৎকালীন সহকারী কমিশনার (ভূমি) কে.এম. রফিকুল ইসলাম। উক্ত অনুমতি পেয়ে মার্কেটের কাজ প্রায় শেষ পর্যায়ে রয়েছে সেটা এখন প্রকাশ্যে। অনুসন্ধানে জানাগেছে অভয়নগরের বাঘুটিয়া ইউনিয়নের ভবানিপুর মৌজার ৬১নং খতিয়ানের ৩৯,৪২,৪৩ নং আর এস দাগের ৭০ শতক জমি তার মধ্য ১ শতক আবাসিক ও ৬৯ শতক জমি বানিজ্যিক জে এল নং ২৬ বাংলা ১৪২৮ সানের খাজনা বাবদ ১১০০ নং বইয়ের ০৫৪৯৯৬ নং রশিদে ১৫,২৫০ টাকা ডিসিআর মূল্যে জমি পেয়েছেন কোদলা গ্রামের মৃত নিরাপদ রায়ের ছেলে স্বপন কুমার রায়। বাংলা ১৪২৮ সালের ডিসিআর ও সরকারি অনুমতি নিয়ে মার্কেট করছেন বলে জানাগেছে। উক্ত মার্কেটের দোকান বরাদ্ধের নামে কোটি টাকা বানিজ্যের বিষয় এখন আলোচনার মূখ্য বিষয় হয়ে উঠেছে। সরেজমিন এলাকাল একাধিক দোকান দার ও স্থানীয় কেহই জমি বিক্রয় বা হস্তান্তরের বিষয়ে কোন গ্রহনযোগ্য তথ্য দিতে পারেনি। তবে চাঁদার বিষয়ে অভিযোগ সূত্রে সৌমিত্র জানায়, গত ইং ২৩ মে-২২ চাকই-মরিচা ভবানীপুর বাজারে কিছুলোক এসে আমাকে না পাইয়া মোবাইলে কল দিয়ে সাংবাদিক পরিচয় দিয়ে বলে যে, তুমি কি সৌমিত্র হ্যা বললে বলে অবৈধভাবে সরকারী জায়গায় ঘর বানাইয়া টাকা ইনকাম করিবা তা কি করে হয়। আমি তখন তাকে বলি যে, আমি বৈধ ভাবে সমুদয় বিধি মানিয়া ঘর বানাইতেছি। তখন কথিত সাংবাদিক আমাকে বলে যে, আমি একজন সাংবাদিক আমাকে বুঝিয়ে লাভ নাই, সাক্ষাতে বিস্তারিত বলিব। কিন্তু মোবাইলে দুপুরের খাবার খেতে চায়। আমি তখন আমাদের বাজারের সেক্রেটারী মাসুদ ভাই ও মোড়ল সিরাজুল ইসলামকে কল দিয়া বিবাদীদেরকে হোটেলে খাওয়াইতে বলিলে তাহারা বিবাদীদেরকে হোটেলে আপ্যায়ন করে। পরবর্তীতে তারা আমার কাছ থেকে কিছু টাকাও নিয়া যায়। এরপর হইতে ওই কথিত সাংবাদিক সাজ্জাত হোসেন তুহিন আমাকে মোবাইলে নানা ধরনের হুমকি দিতে থাকে। সর্ব শেষ গত ইং-২৪/০৯/২০২২ তারিখ সকাল ০৯:২২ ঘটিকার সময় কথিত ওই সাংবাদিক আমার নামে একটি নিউজ করিবে তাহার ড্রাফট হোয়াটস এ্যাপে আমাকে পাঠায়। সে আমাকে সেই নিউজে একজন ভূমি দস্যু হিসাবে আখ্যায়িত করিয়াছে। অভিযোগ থেকে অরো জানাযায়, একই দিন সকাল ০৯:২৩ ঘটিকার সময় ২নং বিবাদী আমাকে কল করিয়া বলে যে, তাকে আমি চিনিনা তার কলমের জোর আমার জানা নাই, যদি আমি ঘর বানাইতে চাই তবে তাদেরকে নগদ ১০ লাখ টাকা চাঁদা দিতে হইবে বলিয়া জানাই। এবিষয়ে সাংবাদিক সাজ্জাদ হোসেন জানান, চাঁদা চাওয়ার বিষয়টি সম্পূর্ণ মিথ্যা উল্লেখ্য মরিচা ভবানি পুর চাকই বাজার জামে মসজিদের ১২ বছর ধরে দায়িত্বে থাকা ইমাম মাওঃ হাফিজুর রহমান ও নড়াইলের সাংবাদ সাজ্জাত হোসেন তুহিনের নামে ১০ লাখ টাকার চাঁদা দাবির অভিযোগ দায়ের হয়েছে। এবিষয়ে ভাটপাড়া ক্যাম্পের এ এস আই মোকলেছুর রহমান অভিযোগের বিষয়টির সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

Comment using Facebook